জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুটের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ আগামী  ১ ডিসেম্বর শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে এই সংবর্ধনার আয়োজন করছিল। স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত পুরকায়স্থ এই সভায় প্রধান বক্তা  হিসাবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন বলে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সুয়েব আহমেদ চৌধুরী জানিয়েছেন। আয়োজিত সভায় প্রধান বক্তা উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে তা স্থগিত করা হয়েছে বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়। শীঘ্র আবার  সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে বলে বলা হয়।

তবে সভা স্থগিতের পিছনে অন্য কারন আছে বলে অনেকে মনে করছেন। সভার প্রধান বক্তা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত পুরকায়স্থ ভারতে চলে যাওয়ায় চেয়ে সংবর্ধনা সভা স্থগিতের বড় কারন হচ্ছে সভায় নেতাদের পছন্দের অতিথি থাকা না থাকা । জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সুয়েব আহমেদ চৌধুরী’র পছন্দের অতিথি ছিলেন আয়ূব বখত জগলুল। অন্যদিকে গ্রুপিংয়ের কারণে সাধারণ সম্পাদক জুবের আহমদ অপু প্রস্তাব করেন ব্যারিস্টার ইমনের নাম। অতিথির তালিকা নিয়ে সংগঠনের শীর্ষ নেতার মতোবিরোধই শেষ পর্যন্ত সভা স্থগিত করতে হয়। সভা স্থগিত নিয়ে নেতৃবৃন্দ যাই বলেন না  কেন  শহরে আওয়ামী রাজনীতিতে এনিয়ে চলে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
জানা যায়, সম্প্রতি জেলা আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুটকে সংবর্ধনা দেয়ার উদ্যোগ নেয় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল জেলা আ.লীগের সভাপতি ও সুনামগঞ্জ ৪ আসনের সাবেক এমপি মতিউর রহমানের। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমনের। এছাড়া জেলা আ.লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম শামীম, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম, ছাতক পৌর মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী, সিলেট জেলা আ.লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রনজিত সরকার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে ছাপানো পোস্টারে উল্লেখ করা হয়। সংবর্ধনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত পুরকায়স্থ। প্রধান বক্তা সুব্রত পুরকায়স্থ অবশ্য মঙ্গলবার উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে চলে গেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অতিথি নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা কিছুটা দ্বিধায় পড়ে যান। সংবর্ধনায় প্রথমে বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র আয়ূব বখত জগলুল। কিন্তু সম্প্রতি জেলা আ.লীগের রাজনীতিতে নয়া মেরুকরণ হয়। বছরখানেক একসঙ্গে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন মতিউর রহমান, নুরুল হুদা মুকুট ও আয়ূব বখত জগলুল। সম্প্রতি মতিউর ও মুকুটের সঙ্গে ‘ঈমানী ঐক্য’ থেকে বেরিয়ে যান আয়ূব বখত জগলুল। অন্যদিকে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ব্যারিস্টার ইমনের সঙ্গে হাত মেলান মতিউর রহমান ও নুরুল হুদা মুকুট। এতে বিশেষ অতিথির তালিকায় বাদ পড়ে যান আয়ূব জগলুল। অতিথি তালিকায় যুক্ত হন ব্যারিস্টার ইমন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn