‘মৃত্যও থামিয়ে দিতে পারেনি আনন্দ উল্লাস?’
রাশেদা রওনক খান::একটি মৃত্যও কি থামিয়ে দিতে পারেনি আমাদের আনন্দ উল্লাস?? কি অদ্ভুত দুনিয়ায় বসবাস করছি আমরা? যাদের জন্য আয়োজন, তাদের কেউ মারা গেলেও যদি আয়োজন না থামে, সেই আয়োজনের উদ্দেশ্য তাহলে কি? আমরা শিশুদের ডেকে এনে মানবিকতার গল্প শোনাবো, অথচ নিজেরাই এতোটা অমানবিক হয়ে উঠবো? কেন? কারণ একটাই, আমরা সবাই- সাংবাদিক, শিল্পী, শিক্ষক, সাহিত্যিক, পুরো সমাজটাই একধরণের মোহে ঘুরছি। বহু আগেই বলেছিলাম, এই মোহাচ্ছন্ন কর্পোরেট দুনিয়ার ব্যবসায়িক ধান্ধায় মানবিকতার কোনো স্থান নেই…. কর্পোরেট দুনিয়া, স্পন্সর, শিল্পী, মানবিকতা, মৃত্যু সব আজ একসাথে ধোঁয়াশা তৈরী করে রেখেছে যেখানে আসলে সত্যের খোঁজ নেই….শুনেছি শিল্পীরা নাকি মানবিক হয়, তা শিল্পীরা কিভাবে গেয়ে যাচ্ছিলো এমন একটি সংবাদ শোনার পরেও? অন্যদের কথা নাইবা বললাম! জানি, টাকা নিয়েছেন, চুক্তি হয়েছে, ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক যুক্তি আছে।… কিন্তু মৃত্যুর সামনে কি কোনো যুক্তিই স্থান পেতে পারে?আমাদের সামাজিক দায়িত্ববোধ আজ এই পর্যায়ে যে, এখানে আত্মার সম্পর্ক নেই, ভালোবাসা নেই, আছে কেবল ব্যবসায়িক দায়িত্ববোধ! দুঃখজনক ব্যাপার হলো, এই কর্পোরেট দুনিয়াই আবার আমাদের মানবিকতাবোধ শেখায়!(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)লেখক: শিক্ষক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়