মেহেদির রঙ না মুছতেই খুন হলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা
bartaadmin
নভেম্বর ২৯, ২০২০
মেহেদির রঙ না মুছতেই খুন হলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা২০২০-১১-২৯T১৯:৪৩:০৯+০০:০০
শিরোনাম, সমগ্র দেশ, সর্বশেষ, সর্বাধিক পঠিত
বার্তা ডেক্সঃঃমেহেদির রঙ না মুছতেই বিরোধপূর্ণ জমি দখল করতে গিয়ে হামলায় নিহত হয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সোহেল রানা (২৭)। শনিবার (২৮ নভেম্বর) দিনগত রাত একটার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের ভরামুহুরীস্থ হাজীপাড়ায় এই হামলার ঘটনাটি ঘটে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে দশজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। নিহত মো. সোহেল রানা পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের পালাকাটা হাসেম মাস্টার পাড়ার আবদুর রকিমের ছেলে। তিনি চকরিয়া পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আব্দুল মান্নান (৩৪) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক মান্নান স্থানীয় হাজি পাড়া এলাকার কবির আহম্মদের ছেলে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ নভেম্বর পেকুয়ার কৃষক লীগ নেতা মেহের আলীর কন্যা কলির সঙ্গে সোহেলের বিয়ে হয়। বিয়ের মাত্র ২৪ দিনের মাথায় শনিবার দিনগত রাতে প্রতিপক্ষের হামলায় মারা যান সোহেল। একই সঙ্গে স্বামীকে হারালেন সদ্য বিবাহিত কলি। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, চকরিয়া পৌর শহরের ভরামুহুরী এলাকার ৬ শতক জমির মালিকানা দাবি করে আসছিলেন চকরিয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসি চৌধুরী ও স্থানীয় নুরুল আলম কন্টাক্টর দুইজনই। বিরোধপূর্ণ জমিটি নুরুল আলমের দখল রয়েছে। বিরোধ নিরসনে দুই পক্ষের মাঝে বেশ কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। তবে দাবির পক্ষে যৌক্তিক কোন ধরনের কাগজপত্র উপস্থাপন করতে না পারলেও জায়গার মালিকানা দাবিতে অনড় আওয়ামী লীগের নেত্রী জেসি চৌধুরী। এরই প্রেক্ষিতে সোমবার (৩০ নভেম্বর) দুই পক্ষের মাঝে আবারও বৈঠক হওয়ার কথা ছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন জানান, শনিবার রাতে একদল সশস্ত্র লোককে ওই জায়গা দখল করতে পাঠান আওয়ামী লীগ নেত্রী জেসি চৌধুরী। নুরুল আলমের লোকজন তাদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে জেসির পক্ষের লোকেরা গুলি চালায়। এতে আহত হন নুরুল আলমের পক্ষের বেশ কয়েকজন। তারা ভয়ে জমি ছেড়ে পালালেও রাতের আঁধারে এলোপাথাড়ি গুলির শব্দ শুনে ক্ষেপে যান স্থানীয়রা। এলাকাবাসী জড়ো হয়ে সশস্ত্র দখলদারদের ওপর চড়াও হয়। দলবদ্ধ এলাকাবাসীকে দেখে জেসির লোকজন পালালেও নিহত সোহেল আটকা পড়েন। বিক্ষুব্ধ লোকজন সোহেলকে পেছন থেকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে। বেদম প্রহারে আহত হন সোহেল। খবর পেয়ে চকরিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে নারী নেত্রী জেসি চৌধুরী ব্যবহৃত দুটি মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। দুটি মুঠোফোনই বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। অপরদিকে, জমির অপর মালিক দাবিদার নুরুল আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনিও ফোন রিসিভ করেননি। চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাকের মোহাম্মদ জুবায়ের বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে জানাজার পর নিহতের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ।এখনো নিহতের পরিবার মামলা করেননি। তবে এর মধ্যে পুলিশ জড়িতদের ধরতে মাঠে নেমেছে। ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে, ময়নাতদন্তের পর বিকেলে জানাজা শেষে সোহেলকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সোহেল নিহতের ঘটনায় এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।-পূর্বপশ্চিমবিডি
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৬২ বার