মোদি সরকারের সঙ্গে আর কোনও কথা নয়: পাকিস্তান
বর্তমান ভারত সরকারের কাছে আর তাদের কোনও প্রত্যাশা নেই। তাই দুই দেশের সম্পর্ক সুস্থির করতে বর্তমান বিজেপি সরকারের সঙ্গে তারা আর কোনও কথা বলতে রাজি নয়। সাফ জানাল পাকিস্তান। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। এমন অবস্থায় বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কোনও কথা বলেই খুব একটা লাভ হবে না, বলছেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে রাজনীতি সচেতন মানুষদের একাংশ মনে করছেন, বড়সড় রদবদল প্রায় নিশ্চিত। বিজেপি সরকারের বিদায়বাঁশি বাজল বলে! তা হলে কি এবার বদলের গন্ধ পেতে শুরু করেছে পাকিস্তানও? ইমরান খানের সরকার স্পষ্ট কিছু বলছে না। তবে প্রত্যক্ষভাবে বুঝিয়ে দিতে চাইছে, মোদি সরকারের উপর তাদের আর আস্থা নেই। ফলে বর্তমান বিজেপি সরকারের সঙ্গে এই মুহূর্তে জটিল বিষয় নিয়ে কোনও আলোচনা করে তারা সময় নষ্ট করতে চায় না।
ফাওয়াদ চৌধরি বলেন, ভারতে লোকসভা নির্বাচনের আগে আর কোনও জটিল বিষয় নিয়ে বিজেপি সরকার মাথা ঘামাবে না। তারা এখন লোকসভা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। ফলে এই মুহূর্তে দুই দেশের সম্পর্কে শান্তিস্থাপন প্রসঙ্গে কথা বলার কোনও মানে হয় না। ভারতে পরবর্তী সরকার গঠনের পরই আমরা আবার কথা বলার চেষ্টা করব। তাছাড়া বর্তমান সরকারের কাছ থেকে আমরা এখন আর কোনও সিদ্ধান্ত আশাও করছি না। তা হলে মোদির বদলে কি পাক সরকারের আস্থা অর্জন করতে শুরু করেছেন রাহুল গান্ধী! এই ব্যাপারেও ধরি মাছ না ছুঁই পানি- পন্থা অবলম্বন করছে পাকিস্তান। ফাওয়াদ চৌধরির বক্তব্য, যেই সরকার গঠন করুক, আমরা সম্মান প্রদর্শন করব। আশা করব, ভারতের নতুন সরকার এবার দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতির চেষ্টা করবে। এই ব্যাপারে আমরা কর্তারপুর করিডরের উদাহরণ টানতে পারি। এমন উদ্যোগ কিন্তু শুধু শিখ সম্প্রদায়ের জন্য লাভজনক নয়! কর্তারপুর করিডর দুই দেশের সুসম্পর্ক স্থাপনের পথে একটা মাইলফলক।