বাংলাদেশে সেলফোন কোম্পানির টাওয়ার থেকে নিঃসৃত রেডিয়েশনের (তেজস্ক্রিয়তা) মাত্রা উচ্চ পর্যায়ের। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বুধবার সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়। আদালতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা প্রতিবেদন তুলে ধরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক। পরে আদালত এফিডেভিট আকারে প্রতিবেদনটি দাখিল করতে বলেন। তবে আদালত এ বিষয়ে বিটিআরসির পদক্ষেপ জানতে চেয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন। সেলফোন টাওয়ারের রেডিয়েশন নিঃসরণ নিয়ে ২০১২ সালে হাইকোর্টে রিট করে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ।

ওই সময় হাইকোর্ট রেডিয়েশনের মাত্রা এবং এর স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত প্রভাব খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন । বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির কয়েকটি মোবাইল ফোন টাওয়ার পরিদর্শন করে রেডিয়েশন বিষয়ে আদালতে একটি প্রতিবেদন দিতে বলেন। এছাড়া সাত দিনের মধ্যে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি করতে স্বাস্থ্য সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এই কমিটিতে বিজ্ঞানী, সংশ্লিষ্ট বিষয়ের অধ্যাপক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং আণবিক শক্তি কমিশনের প্রতিনিধিদের থাকার কথা বলা হয়। এই কমিটিকে মোবাইল টাওয়ার থেকে মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও পরিবেশগত প্রভাব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত মোবাইল কোম্পানির টাওয়ারগুলো থেকে নিঃসৃত রেডিয়েশন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চান হাইকোর্ট।

এরপর কমিটি করে নিরীক্ষা করে স্বাস্থ্যের ক্ষতির বিষয়টি প্রতিবেদনে উল্লেখ করে বিটিআরসিকে বলেছেন রেডিয়েশনের মাত্রা কমাতে। এ প্রতিবেদনটি মঙ্গলবারের মধ্যে হলফনামা আকারে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিটিআরসি কী পদক্ষেপ নিয়েছেন সেটিও আদালতকে জানাতে হবে। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn