ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে সিলেটের শিক্ষিকার ধর্ষণের অভিযোগ
বার্তা ডেস্ক: প্রথমে প্রেম পরে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার হোটেলে রাত্রিযাপন। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে এমন অভিযোগ করেছেন সিলেট ও ময়মনসিংহের দুই নারী। দুটি অভিযোগে অভিযোগকারী দুই নারীকে আজ রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) তদন্ত কমিটির কাছে হাজির হতে বলা হয়েছে। অভিযুক্ত কর্মকর্তাকেও ডাকা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব যিনি যশোর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সদ্য যোগদান করেছেন। ৭ জুলাই তার পুরনো কর্মস্থল ভোলার জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দুটি করেন দুই নারী। অভিযোগ পেয়ে ২৬ জুলাই তাকে ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়। অভিযোগ দুটি তদন্ত করতে ইতোমধ্যে সেই দুই নারীকে মন্ত্রণালয়ে উপস্থিত হতে উপসচিব জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠি পাঠানো হয়েছে। রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) তাদের অভিযোগ শুনানি হবে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, এ ধরনের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এর আগে অনেকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। তদন্তে জিরো টলারেন্স দেখানো হবে।
জানা গেছে, ৭ জুলাই গৌরীপুরের মেয়েটি প্রথম ভোলা জেলা প্রশাসক বরাবর বিয়ের প্রলোভনে দীর্ঘদিন ময়মনসিংহের বিভিন্ন হোটেলে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। ১৩ জুলাই সিলেট থেকে একটি অভিযোগ জমা পড়ে ভোলার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। দুটি অভিযোগই ভোলার জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিক মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেন এবং অভিযোগ পেয়ে মন্ত্রণালয় ২৬ জুলাই তাকে ভোলা থেকে ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করেন। এ ঘটনা তদন্ত চলাকালে হঠাৎ তাকে পদায়ন করা হয় যশোর বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে। পরে ২৭ আগস্ট তাকে পদায়ন করা হয় যশোর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে। সিলেটের স্কুল শিক্ষিকা জানান, তিনি বিচার চাইতে গিয়ে বারবার অপমানের স্বীকার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাকে ভয়ভীতি দেখানো হয় এবং হঠাৎ তাকে ভোলা বদলি করে দেয়া হয়। তার যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় সে কারণেই তিনি অভিযোগ করেছেন।
হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান অপমান কিংবা ভয়ভীতি দেখানোর কথা অস্বীকার করে বলেন, মেয়েটি কোনো লিখিত অভিযোগ না দেয়ায় তিনি ব্যবস্থা নিতে পারেননি। আর বদলির বিষয়ে বলেন, এ ঘটনার পর নিজ উদ্যোগেই সে বদলি হয়ে ভোলায় গিয়েছেন। দুই অভিযোগকারীর কাছ থেকে পাওয়া অভিযুক্ত কর্মকর্তার ৬টি মোবাইল নম্বরে বারবার যোগাযোগ করা হলেও সব নাম্বারই বন্ধ পাওয়া যায়। আর বিষয়টি তদন্তাধীন এবং এখনও প্রমাণিত নয় বিধায় কর্মকর্তার নাম প্রকাশ করা হল না। সূত্র : যুগান্তর