যাদুকাট তীরে শুরু হচ্ছে দু’আধ্যাত্বিক মহাসাধকের ভক্তদের মিলনমেলা
জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া:: তাহিরপুর উপজেলার সীমারন্তবর্তী ভারতের মেঘালয় পাহাড়ের সীমান্তঘেষা জাদুকাঁটা নদীর তীরে দু’আধ্যাত্বিক মহা সাধকের লাখো লাখো ভক্তের ৩দিন ব্যাপী মিলনমেলা মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে। দু’ধর্মের দু’আধ্যাত্বিক মহাসাধকের ভক্তবৃন্ধের মিলনমেলাকে কেন্দ্র করে সিলেট বিভাগের সিলেট,হবিগঞ্জ,মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জসহ ৪জেলা এবং উপজেলা গুলোতে গত এক সপ্তাহ ধরেই উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। জানাযায়,বৃহত্তর সিলেট বিভাগের মধ্যে সুদুর ৭৫০বছর পুর্ব কাল থেকে সপ্তগঙ্গার মিলনকেন্দ্র সব তীর্থের এক তীর্থ ২৩কি.মি দৈর্ঘ্যরে পণতীর্থ ও হযরত শাহ আরেফিন (রহঃ)র আস্থানায় সবচেয়ে বড় উৎসব ও ওরস মোবারক হয়ে আসছে। এ ওরস মোবারক ও ¯œানযাত্রায় যোগ দিতে শুধু সিলেট নয় রাাজধানী ঢাকা সহ সারা দেশ ও দেশের বাহির ইউরোপ,মধ্যপ্রাচ্য,এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে ভক্ত ও আশেকানগণ এসে থাকে। ইতিামধ্যে দেশের সমগ্র অঞ্চল থেকে হাজার হাজার কাফেলাধারী পাগল ফকির,ভক্ত,সাধক ও দর্শনার্থীরা ওরস এবং ¯œানযাত্রা মহোৎসবে যোগ দিতে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো ও আখড়াবাড়ীর আশে পাশের গ্রামে আসতে শুরু করেছে।স্থানীয় সূত্রে জানাযায়,সিলেটের হযরত শাহজালাল (রহঃ)র ৩৬০আউলিয়ার অন্যতম সঙ্গী হযরত শাহ আরেফিন (রহঃ)তাহিরপুরের লাউড়েরগড় সীমান্তের আস্থানায় প্রতি বছরের ন্যায় ১চৈত্র ১৪২৪বাংলা,১৫মার্চ ২০১৮বাদ আছর ওলি আউলিয়াদের জীবন দর্শনের উপর আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে বার্ষিক ৪দিন ব্যাপী ওরস মোবারক আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হবে। ওরস চলবে ১,২ও ৩চৈত্র-১৫,১৬ ও ১৭মার্চ শনিবার ফজর পর্যন্ত। অপরদিকে প্রাচীন লাউড় রাজ্যের হাবেলীর দেওয়ান রাজা ওরফে বিজয় সিংহের রাজদরবারের পুরোহিত শ্রী অদ্বৈত্য আচার্য মহাপ্রভুর নবগ্রাম খ্যাত রাজাগাঁওস্থ আঁখড়া বাড়ির সংলগ্ন সীমান্তনদী ২৩কিঃমিঃ দৈর্ঘ জাদুকাটা নদীতে পণতীর্থের দু’তীরে ৩০ফাল্গুন-১৪মার্চ বুধবার থেকে ৩দিন দিন ব্যাপী মহাবারুণী মেলাও শুরু হচ্ছে। বারুণী মেলা চলবে ৩০ফাল্গুন,১ ও ২চৈত্র-১৪,১৫মার্চ এবং ১৬মার্চ ভোর বেলা শুক্রবার আরতির মাধ্যমে বারুণী মেলার সমাপ্ত হবে।শ্রী অদ্বৈত্য মহাপ্রভুর আখড়াবাড়ী ও জন্মধাম সংরক্ষন সংস্কার কমিটি সূত্রে জানাযায়,এ বছর স্নানযাত্রার মুখ্য সময় নিধারিত হয়েছে মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী শতবিশা নক্ষত্রে ১চৈত্র- ১৫মার্চ বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা থেকে গতে ও ¯œানযাত্রা সমাপ্ত হবে বিকাল ৫টার মধ্যে। গঙ্গাস্নান যাত্রাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ গড়কাটি ইসকন মন্দিরে ৩দিন দিনের বারুণী মেলায় আগতদের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে। উপজেলা ও লাউড়েরগড় এবং রাজারগাঁও(নবগ্রাম) এলাকার স্থানীয় সচেতন লোকজন বলেন,ওরস ও মেলা উপলক্ষে মদ,গাঁজা,ইয়াবা বিক্রয় ও সেবনকারীদের উপদ্রব দমন,ওরস ও বারুণী মেলায় জুয়ার আসর বসানোর অপচেষ্টা,চোর,পকেটমার,ছিনতাই রোধ ও মেলায় বসা দোকানপাঠ থেকে ইজারা ও অনুদান আদায়ের নামে দ্রব্যমুল্যের উর্ধŸগতি রোধ অহেতুক হয়রানী প্রতিরোধে আইশৃংখলা বাহিনীর বিশেষ সহায়হাতা কামনা করেছেন। ওরস ও বারুণী মেলায় স্থাপিত বিভিন্ন দোকান পাট থেকে তুলা হয় প্রায় কোটি টাকা। এসব বন্ধ করতে হবে। এসব টাকা তুলতে গিয়ে স্থানীয় চাদাঁবাজরা অতি উৎসাহী হয়ে উঠে। পরে চাদাঁ তুলতে গিয়ে গনধোলাইও খেয়েছে। তাই এই বিষয়ে সবাইকে সর্তক থাকতে হবে। শাহ আরেফিন(রাঃ)ওরস উদযাপন কমিটির সফল ১৪বছর ধরে দায়িত্বে থাকা সাধারন সম্পাদক আলম সাব্বির জানান,নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের পাশাপাশি,এনএসআই, ডিএসবি, ডিবি,সাদা পোশাকধারী পুলিশ ও র্যাবের কয়েক শতাধিক সদস্য বিশেষ নজরধারী করা ছাড়াও ঝুঁকিপুর্ণ সড়ক গুলোতে দিবারাত্রী যাতায়াতকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে নিয়মিত টহল দেবে। তাহিরপুর থানার অফিসার্স ইনচার্য নন্দন কান্তি ধর জানান,ওরস ও ¯œানযাত্রা মহোৎসবে সার্বিক নিরাপত্তা দিতে এ বছর অন্যান্য বছরের ন্যায় আখড়াবাড়ী,পণতীর্থ ধামে গঙ্গাস্নান,গড়কাটি ইসকন মন্দির,বারুণী মেলা ও ওরশ মোবারক আস্থানায় পুলিশ,বিজিবি,আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্প বসানো হয়েছে। তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূনেন্দ্র দেব জানান,হযরত শাহ আরেফিন (রহঃ) আস্থানায় মুসলিম ও সনাতন,বৈদ্য খ্রীষ্টানসহ সব ধর্মের ভক্তগন প্রতি বছরের মত এ বছরও লাখ লাখ ভক্ত ও আশেগানদের আগমন গঠবে।