যুক্তরাজ্যের নতুন বাণিজ্য পরিকল্পনায় লাভবান হবে বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক দফতরের প্রতিমন্ত্রী ড. লিয়াম ফক্স বলেন, ‘আমরা উন্নয়ন ও বাণিজ্যকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘মুক্ত বাণিজ্যের মাধ্যমেই বৈশ্বিকভাবে একটি প্রজন্মের ১০০ কোটি মানুষকে আমরা দারিদ্রের কষাঘাত থেকে মুক্তি দিয়েছি। এটা আমাদের অন্যতম সেরা অর্জন। আমরা চাই এই বিষয়টা অব্যাহত থাকুক। বিরোধী দল লেবার পার্টির দাবি, সরকার বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর কাছ থেকে অর্থ নিয়ে ধনী বিনিয়োগকারীদের লাভবান করার চেষ্টা করছে। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক ছায়া প্রতিমন্ত্রী ড্যান কারডেন বলেন, ‘সরকার খুব করে ব্রেক্সিট পরবর্তী চুক্তিগুলো বাস্তবায়ন করছে। তাদের সহায়তা তহবিল বাজেট আর যাই হোক না কেন বৈশ্বিক দারিদ্র মোকাবিলার জন্য ব্যবহৃত হবে না।’ যুক্তরাজ্যের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রফতানি বাজার হচ্ছে ব্রিটেন। ২০১৮ সালে দুই দেশের মধ্যে ৩৬০ কোটি পাউন্ডেরও বেশি বাণিজ্য হয়েছে। বাংলাদেশ রফতানি করেছে ৩০০ কোটি পাউন্ড সমমূল্যের পণ্য আর আমদানি করেছে ৬২ কোটি ৭০ লাখ পাউন্ড। বাংলাদেশের প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস যুক্তরাজ্য। ২০১৮ সালে বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ ছিল ৩৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার। সম্প্রতি যুক্তরাজ্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে গেলে শুল্ক মুক্ত ও কোটা মুক্ত বাজার সুবিধা দেওয়া হবে বাংলাদেশকে।