যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতির বাড়িতে সন্ত্রাসি হানা
লন্ডন থেকে ডালিয়া লাকুরিয়া : গতকাল বিএনপির সভাপতি এম এ মালিকের বাড়ীতে অজ্ঞাত পরিচয় পাঁচ ব্যক্তি হানা দেয় বলে দাবি করেন তাঁর পরিবারের লোকেরা। ঘটনাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রণোদিত বলে দাবী করেছেন জনাব মালিক। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেল পৌনে তিনটায় প্রথমে এক ব্যক্তি জনাব মালিকের সাফকস্থ স্কেইট হিলের বাড়ীতে চিহ্নিত করে,অত:পর আরও চার ব্যক্তিরই ডেকে এনে ঐ বাড়ীতে প্রবেশ করার চেষ্টা করে।এসময় জনাব মালিক বাড়ীতে ছিলেন না। কিন্তু তাঁর দুই পুত্র-রবি মালিক (৩৩) ও রনি মালিক (২৭) – ছিলেন। এসময় রনি মালিক বিশ্রামে ছিলেন এবং রবি মালিক শরির চর্চা করছিলেন। অনাকাঙ্খিত অতিথির উপস্থিতি টের পেয়ে রবি মালিক রড হাতে বাহিরে এলে রনি মালিক তাকে অনুশরন করেন। অনুপ্রবেশকারীরা দুভাইকে আসতে দেখে দ্রুত সরে পড়ে। ভ্রাতৃদ্বয় অনুপ্রবেশকারীদেরকে ধাওয়া করলে তাঁরা পালিয়ে যায়।
অনুপ্রবেশের ঘটনার তদন্তে জনাব মালিকের বাড়ীতে আগত পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে জানতে চায় জনাব মালিকের কোন শত্রু আছে কিনা। এই প্রতিবেদকসহ সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে জনাব মালিক বলেন তাঁর বিশ্বাস শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে তিনি নানা বিক্ষোভ- সমাবেশের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মন্ডলে আওয়ামী-বাকশালী দু:শাসনের যে চিত্র তুলে ধরেন, তাতে প্রতিহিংসা বসে তাঁর প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে এই হামলা চালানো হয়।জনাব মালিক আরও জানান, যেভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে সন্ত্রাসের মাধ্যমে চুপ করিয়ে দেবার চেষ্টা করা হয় সেই একই কায়দায় তাকেঁও চুপ করিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বিশেষ নিয়োগ প্রাপ্ত এক ব্রিগেডিয়ারের পরিকল্পনা অনুযায়ী হিটম্যান ভাড়া করে এই হামলা চালানো হয়। তিনি তাঁর পুত্রদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন তাঁর সাহসী ছেলেরা বীরত্বের সাথে কাপুরুষ সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করে হটিয়ে দিতে সক্ষম হন।এ বিষয়ে তিনি পুলিশের ইতিবাচক ভূমিকারও প্রশংসা করেন। সমগ্র ঘটনাটি পুলিশের তদন্তাধীন রয়েছে বলে জনাব মালিক সন্দেহভাজনদের নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানান। তবে তিনি জানান শেখ হাসিনার লন্ডন অবস্থান কালে তাঁর নেতৃত্বাধীনে আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক বিশেষ কর্মকর্তা তাঁকে টেলিফোনে নানা সময় নানা হুমকি দেন। জনাব মালিক মনে করেন, তাঁকে দেওয়া হুমকির সাথে গতকালের ঘটনাটি সম্পর্কিত।