ব্রিটেনে মসজিদের সামনে সন্ত্রাসী হামলার পর এবার যুক্তরাষ্ট্রে মসজিদের কাছ থেকে এক মুসলিম তরুণীকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হচ্ছে, রবিবার (১৮ জুন) রাতে ভার্জিনিয়ার ‘অল ডালেস এরিয়া মুসলিম সোসাইটি’ মসজিদ থেকে বের হবার পরপরই ওই তরুণীকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২২ বছর বয়সী এক শ্বেতাঙ্গ ‘মুসলিম বিদ্বেষী’ তরুণকে আটক করেছে পুলিশ। ভার্জিনিয়ার ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টির রেস্টনের বাসিন্দা ১৭ বছর বয়সী এই তরুণীর নাম নাবরা হাসানেন।

খবরে বলা হচ্ছে, অল ডালেস এরিয়া মুসলিম সোসাইটি মসজিদটি উত্তর ভার্জিনিয়ার সবচেয়ে বড় মসজিদ। ২৫ হাজার বর্গফুট আয়তনের এই মসজিদটিতে সাত শতাধিক মুসল্লি নামাজ পড়তে পরেন। এতে তরুণদের একটি উইকেন্ড স্কুল, একটি জিমনেশিয়াম এবং একটি মাল্টিপারপাস মিলনায়তন রয়েছে। রমজানের শেষ ১০ দিনে সেখানে মধ্যরাত থেকে রাত ২টা পর্যন্ত বিশেষ নামাজের আয়োজন করা হয়। সাধারণত এসময় মুসল্লিরা নামাজ শেষে ম্যাকডোনাল্ড ও আইএইচওপির রেস্টুরেন্টে গিয়ে সেহরি খেয়ে রোজা রাখেন। নাবরা ও তার বান্ধবীরাও নামাজ শেষে রবিবার ভোরে সেহরি খেতে গিয়েছিলেন। ​সেহরি খেয়ে ফেরার পথে একজন মোটরসাইকেল চালকের বাধার মুখে পড়েন তারা। এ সময় অন্যরা দৌড়ে মসজিদে চলে আসতে পারলেও নাবরা পেছনে পড়ে যান। বিষয়টি মসজিদ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তারা পুলিশকে খবর দেন। এরপর পুলিশ তার খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি শুরু করে। পুলিশ ফেয়ারফ্যাক্সের ড্রানেসভিলে রোড এবং হার্নডনের উডসন ড্রাইভে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী যৌথ অভিযান চালায়। এরপর বিকাল ৩টার দিকে একটি পুকুরে নাবরার লাশ পাওয়া যায়। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তাকে বলেছেন, নাবরার দেহে লোহার ব্যাট দিয়ে পেটানোর দাগ রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, নাবরা হত্যাকাণ্ডকে সম্ভাব্য মুসলিম বিদ্বেষজনিত অপরাধ বিবেচনা করে এ ঘটনার তদন্ত করছে কর্তৃপক্ষ। এর আগে রবিবার সন্ধ্যায় লন্ডনের একটি মসজিদের সামনে মুসল্লিদের উপর গাড়ি হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় একজন প্রবাসী বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn