যুক্তরাষ্ট্র চায় অস্ত্র বিক্রি, বাংলাদেশ চায় বঙ্গবন্ধুর খুনিকে
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিজয়ী হয়ে গঠিত নতুন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে প্রায় সোয়া ঘণ্টা বৈঠক করেছেন ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। নতুন মন্ত্রীর সঙ্গে নয়া দূতের এটি ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ হলেও সেখানে সুশাসন, গণতন্ত্র, উন্নয়ন, সামরিক খাতে সহযোগিতা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশের কাছে অস্ত্র বিক্রি করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আর মার্কিন প্রশাসনের কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি পলাতক রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত চেয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদুত রবার্ট আর্ল মিলারের সৌজন্য সাক্ষাতে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সব বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ইতিবাচকভাবে এগিয়ে নিতে চায় সরকার। তবে সবার আগে যত দ্রুত সম্ভব বঙ্গবন্ধুর খুনি পলাতক রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি এগিয়ে নেয়ার কথা জানান তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি তাঁকে বলেছি। আমাদের আদালতের রায় হয়েছে, ফেয়ার অ্যান্ড জুডিশিয়াস প্রসেসে। এরা আত্মস্বীকৃত খুনি। এদের আমাদের দেশে পাঠিয়ে দেও। নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে প্রথম আনুষ্ঠানিক সাক্ষাতের পর রাষ্ট্রদূত মিলার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, গণতন্ত্র ও সুশাসনের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরো কীভাবে শক্তিশালী করা যায় সে নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব, সমরাস্ত্র বিক্রি ও ইন্দো প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি এবং দুই দেশের জনগণের বন্ধন আরো কিভাবে সুদৃঢ় করা যায় সেসব বিষয়ও আলোচনায় এসেছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, পররাষ্ট্র সচিব সদ্য যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন। সেখানে তিনি মার্কিন কর্মকর্তাদের বিভিন্ন পর্যায়ে সিরিজ বৈঠক করেছেন। আমি মন্ত্রীকে ওয়াশিংটন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আশা করি তিনিও সফর করবেন।