আট বছর ধরে ভারতে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। অনুপ্রবেশের মামলায় এরইমধ্যে তাকে খালাস দিয়েছে ভারতের শিলংয়ের আদালত। বলেছে, বাংলাদেশে ফিরতে বাধা নেই তার। তবুও দেশে ফিরতে পারছেন না বিএনপি’র আলোচিত এই নেতা। বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। ভারত থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদ মানবজমিনকে বলেন, গত ৮ই মে গোহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার বরাবর ট্র্যাভেল পাস বা ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট চেয়ে আবেদন করেছি। এখন পর্যন্ত সাড়া পাইনি।
২০১৫ সালের ১০ই মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সালাহউদ্দিন আহমেদ। সে সময় তার দল এবং পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে গুম করেছে। নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ১১ই মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা করা হয়।
সালাহউদ্দিন আহমেদ আদালতে বলেছিলেন, তাকে উত্তরার বাসা থেকে অপহরণ করা হয়। পরে কে বা কারা তাকে শিলংয়ে ফেলে যায়। গত মার্চ মাসে এ মামলায় আপিলের রায় ঘোষণা করে আদালত। চূড়ান্ত রায়েও তাকে খালাস দেয়া হয়। আদালত তাকে দ্রুত দেশে পাঠানোরও আদেশ দেয়। সালাহউদ্দিন আহমেদ ১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন। এরপর সরকারি চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে প্রথমবার তিনি কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিন বারের সাবেক এই এমপি বিএনপি সরকারের যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এর আগে দলটির যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
১৬৬ বার