রাজশাহী: রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মালদ্বীপের মডেল রাউধা আতিফ হত্যার ঘটনায় রাজশাহীতে দায়ের করা মামলা সিআইডিতে হস্তান্তরের পর তদন্ত শুরু হয়েছে। শনিবার সকালে মামলাটির তদন্তকাজ শুরু হয়েছে বলে জানান রাজশাহী সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল করিম খান।এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। গত ২৯ মার্চ রাজশাহী নগরীর নওদাপাড়ায় ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী হোস্টেল থেকে রাউধার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রাউধা এ কলেজের এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানায়, রাউধা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এরপর ঝুলন্ত লাশ নামিয়ে বিছানায় রাখা হয়েছিল।
এ ঘটনায় ওই দিনই কলেজ কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে নগরীর শাহ মখদুম থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করে। নীল চোখের অধিকারী রাউধা মালদ্বীপের একজন উঠতি মডেল ছিলেন। মাত্র একুশ বছরের রাউধার ছিল আন্তর্জাতিক খ্যাতি।

রাউধার লাশের ময়নাতদন্তের পর পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে রাজশাহী নগরীর হেতেমখাঁ কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ গঠিত তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলেছে, রাউধা আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনার পর মালদ্বীপের দুই পুলিশ কর্মকর্তা রাজশাহীতে এসে ঘটনা তদন্ত করে যান। এরপর দেশে ফিরে গিয়ে তারা জানান, রাউধাকে হত্যার কোনো প্রমাণ তারা পাননি। রাউধার মৃত্যুর ঘটনায় কলেজের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সে কমিটি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, রাউধা আত্মহত্যা করেছেন। তবে গত ১০ এপ্রিল রাউধার বাবা ডা. মোহাম্মদ আতিফ রাজশাহীর আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, রাউধাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
এ মামলায় রাউধার সহপাঠী সিরাত পারভীন মাহমুদকে (২১) একমাত্র আসামি করা হয়েছে। সিরাতের বাড়ি ভারতের কাশ্মীরে। তিনি ছিলেন নিহত রাউধার সহপাঠী। রাউধার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল সবচেয়ে বেশি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn