রাজনীতিতে ৭০ বছর, কোনপথে সুনামগঞ্জ আওয়ামীলীগ
বিশেষ প্রতিবেদক-৭০ বছর পূর্ণ করল আওয়ামী লীগ। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন জন্ম হয় দলটির । পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে এই দলের আত্মপ্রকাশ। সভাপতি ছিলেন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী আর সাধারণ সম্পাদক হলেন মৌলভী শামসুল হক। পুরো পাকিস্তানের ক্ষেত্রে সংগঠনটির নাম রাখা হয় নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। এর সভাপতি হন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। সেক্রেটারি জেনারেল হন মাহমুদুল হক ওসমানী। নওয়াবজাদা নসরুল্লাহ খান হন পশ্চিম পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি। ১৯৬৬ সালে ষষ্ঠ কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের সভাপতি হন শেখ মুজিবুর রহমান। সর্বশেষে ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে দলের সভাপতি পদে আছেন শেখ হাসিনা। দলের ১৩তম কাউন্সিলে তিনি প্রথম সভাপতি হন। সর্বশেষ ২০তম কাউন্সিলেও তিনি একই পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শ ও শেখ হাসিনার শ্রমে গড়া আওয়ামীলীগ আজ সরকারে। দল যখন ক্ষমতায় থাকে দল করা লোকের তখন অভাব হয় না। হালুয়া রুটির লোভে তারা থাকেন মাতোয়ারা। দূর্দিনে চিনা যায় প্রকৃত আদর্শবান নেতাকর্মী। দলের ৭০ বছর পূর্তী উপলক্ষে কোন পথে চলছে সুনামগঞ্জ আওয়ামীলীগ? কারা চালাচ্ছে দল তা নিয়ে এ বিশ্লেষন। শুধু সুনামগঞ্জ নয় গোটা বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিত আজ এক। প্রকৃত আওয়ামীলীগারদের মাঝে এ নিয়ে তাই আছে ক্ষোভ, আছে অসন্তোষ। সারা দেশের মতো সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগকেও আজ গ্রাস করছে এক সময়ের আওয়ামীলীগ বিরোধীরা। মূলধারার নেতৃত্ব উপেক্ষিত। সুবিধা ভোগী হচ্ছে ছাত্র ইউনিয়ন, জাসদ ও বাসদ সহ তথাকতিথ প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলনের পুরোধারা। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রেক্ষাপট এক সময় যারা তৈরী করে ছিলো সেই তারা। আওয়ামীলীগের মূলধারার নেতৃত্বকে খতম করে আজ তারাই দলের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোও হাতিয়ে নিচ্ছে। মূল সংঘটন ছাড়াও প্রায় সবগুলো অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ পদে অধিষ্টিত রয়েছেন অন্যদল থেকে আগত নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে বনেদী আওয়ামী পরিবারের সদস্যদের প্রায় অনেকে কোনঠাসা হয়ে রাজনীতি বিমুখ হয়ে দূরে রয়েছেন কিংবা রুটি রুজির ধান্ধায় বিদেশে অবস্থান করছেন। কেউকেউ বাধ্য হয়ে দলের নেতৃত্বে জগদ্দল পাথরের মতো ঘাপটি মেরে বসে থাকা সুবিধাবাদী নেতাদের চামচাগিরী করছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সুনামগঞ্জ মহকুমা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দেওয়ান আনোয়ার রাজা চৌধুরী পরিবারের কোন সদস্যদের ঠাই হয়নি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগে। প্রতিষ্টাতা সেক্রেটারী আকমল আলী মোক্তারের পরিবারের সদস্যরা নানা কারণে রাজনীতি থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করছেন। ৭০ এর নির্বাচনে দলের এমএনএ দেওয়ান ওবায়দুর রাজা চৌধুরীর পুত্র দেওয়ান এমদাদ রাজাকে ৩য় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী ঘোষণা দিয়েও পরে তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে পরাজয় বরণে বাধ্য করা হয়। বর্তমানে তাকে আওয়ামীলীগে ছোটখাটো পদ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। দলে তার মতো কারোকারো স্থান হলেও আদের অনেককে গুরুত্বপূর্ণ কোন পদ দেয়া হচ্ছেনা। সুনামগঞ্জ সদর থানা আওয়ামীলীগে শুরু থেকে জড়িত মরহুম হোসেন বখত এর পুত্ররা দীর্ঘদিন দলে কোন গুরুত্বপূর্ণ পদ পাননি। এক সময় দলের জেলা সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পেলেও হোসেন বখতের পুত্র আয়্যুব বখত জগলুলকে কোন এক কারনে দল থেকে বহিস্কৃত হতে হয়। পরবর্তীতে তাকে জেলা কমিটিতে সহ-সভাপতি রাখলেও তিনি তা দেখে যেতে পারেন নি। কমিটি ঘোষনার আগেই তার ইন্তেকাল হয়।
১৯৬৬ সালে সুনামগঞ্জ মহকুমা ছাত্রলীগের প্রতিষ্টাতা সেক্রেটারী হিসেবে দলে ফিরিয়ে এনে ৯৬ সালের নির্বাচনে সাবেক এমপি দেওয়ান শামসুল আবেদীনকে নৌকার মনোনয়ন দেয়া হলেও দলের মধ্যে থাকা কতিপয় উচ্চাভিলাষী নেতাকর্মীদের বিশ্বাসঘাতকতার কারনে তাকে পরাজিত হতে হয়। এবং পরবর্তীতে দল ছাড়তে বাধ্য করা হয়। ছাত্রজীবন থেকেই যুবলীগ প্রতিষ্টাসহ দলের কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে নিবেদিত থাকার পরও মূল্যায়ন পাচ্ছেন না এডভোকেট আফতাব উদ্দিন আহমদ। তৃতীয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তাকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মহাজোটের মনোনয়ন দিয়ে আবার একই দল থেকে দুজনকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। সর্বশেষে তাকে মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করা হয়।
মহকুমা আওয়ামীলীগের প্রথম কার্যকরী কমিটির দপ্তর সম্পাদক পরবর্তীতে সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক রাজনীতিবিদ আব্দুল হাই হাছনপছন্দ ও তার ভাই আব্দুল আহাদ চৌধুরী তারা মিয়ার পরিবারবর্গ আওয়ামী রাজনীতির জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ ও অর্থ উৎসর্গ করা স্বত্তেও এই পরিবারের সদস্যদের কেউ বর্তমান আওয়ামীলীগে নেই। তারা মিয়ার পুত্র মারুফ চৌধুরী ও আনোয়ার হোসেন চৌধুরী আনুল ছাত্র অবস্থার ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয় ভাবে জড়িত ছিলেন। পরবর্তীতে স্থায়ী ভাবে বাসবাসের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। স্বদেশের ন্যায় যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে আওয়ামী রাজনীতির জন্য নিরলস শ্রমসাধনা অব্যাহত রাখছেন। দেশের মাটিতে এসে নিজদলের জন্য কিছু করার ইচ্ছে করলেও বর্তমান স্থানীয় রাজনীতির দৈনদশা তাদেরকে হতাশ করে।
মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে মহকুমা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে প্রিয় দলকে বলিষ্ট নেতৃত্ব দিয়েছিলেন নুরুজ্জামান শাহী। ৭৫ পরবর্তীতে দীর্ঘদিন কারাভোগের পর মুক্তি পেয়ে.৭৮ সালে প্রথমে জার্মানী রাজনৈতিক আশ্র্য় প্রার্থি ও পরে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী ভাবে বসবাসের জন্য চলে যান। দেশে এসে রাজনীতি করার ইচ্ছে থাকলেও পরিবেশ অনুকুলে না থাকায় বারবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। নুরুজ্জামান চৌধুরী শাহীর নেতৃত্বের শূণ্যতা পূর্ন করতে মূলধারার নেতা হিসেবে ৭৮ পরবর্তী সময়ে মহকুমা ছাত্রলীগের আহবায়ক ও ২ বারের নির্বাচিত সভাপতি পীর মতিউর রহমান এডভোকেট এর স্থান প্রথম সারীতে থাকার কথা। কিন্তু গত সম্মেলনে তাকে জেলা কমিটির নামমাত্র সদস্য পদে রাখা হয়েছে। নুরুজ্জামান শাহীর ভ্রাতা ইমানুজ্জামান মহী ছাত্রকাল থেকে ছিলেন ছাত্রলীগ রাজনীতিতে জড়িত। তিনি যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ রাজনীতিতে এখনও সক্রিয়। সেখানে সাসেক্স রিজিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন সহ সুনামগঞ্জ প্রবাসী সমিতি সুপ্রবাস এর চেয়ারপার্সন এর দায়িত্ব পালন করছেন। কমিউনিটি, রাজনীতি, সাহিত্য ও সাংবাদিকতায় একাদারে অবদান রাখছেন। এবার জেলা কমিটিতে কার্যকরী সদস্য হলে দলছুটদের অনেকে এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। নুরুজ্জামান শাহীর আরেক ভাই আহমদুজ্জামান হাসান ছাত্র অবস্থায় ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকা রাখা সহ যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ ও এক সময় কেন্দ্রীয় যুবলীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য হয়ে রাজনীতিতে বলিষ্ট ভূমিকা রাখেন। পরবর্তীতে স্থানীয়ভাবে দলীয় ত্যাগী নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে সাংগঠনিক কর্মকান্ড অব্যাহত রাখলেও জেলা কমিটিতে কোন পদ নেই তার।
দলের আরেক ত্যাগী নেতা আমির হোসেন রেজা বিভিন্ন সময়ে দলের জেলা ও থানার বিভিন্ন গুরুত্ব পূর্ণ পদে থাকলেও এখন দল থেকে নির্বাসিত। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে তার শুরু। ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতৃত্ব দিলেও আওয়ামীলিগের রাজনীতিকে তিনি যেন নিষিদ্ধ। মূলধারার রাজনীতি ঠিকিয়ে রাখতে জীবন মরনের মুখোমোখি হলেও সেই সংগঠন তাকে কিছু দেয়নি। বিভিন্ন দল থেকে দলছুট ব্যক্তিরা বড়বড় পদ ভাগিয়ে নিলেও শুধু অনিয়ম ও অগনতান্ত্রীকতার বিরোদ্ধে অবস্থান নেয়ার কারনে তিনি আজ সব কিছু থেকে বিচ্ছিন্ন।
সাবেক সাংসদ জেলা আওয়ামীলীগের আমৃত্যু সভাপতি মরহুম আব্দুজ জহুরের পুত্র জুনেদ আহমদকে জেলা কমিটিতে শান্তনা পুরোস্কার হিসাবে পদ দিলেও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ আজাদের জেষ্টপুত্র আজিজুস সামাদ আজাদকে বাদ দেয় জগন্নাথপুর থানা আওয়ামীলীগ। ৭৫ পরবতী দলের দূর্দিনে প্রদীপ দাশ,মুক্তিযোদ্ধা শাহীন বাঙ্গালী সহ এমনি ভাবে অসংখ্য নেতা কর্মীর নাম নেয়া যাবে যারা আজ বিভিন্ন কারনে স্থানীয় রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। স্থানীয় আওয়ামী রাজনীতিতে বহিরাগতদের যে আধিপত্য তার কাছে পরাজিত হয়ে তারা এখন দল থেকে বিচ্ছিন্ন।
জেলা আওয়ামীলীগের প্রয়াত সভাপতি সাবেক মন্ত্রী অক্ষয় কুমার দাস, সাবেক এমপিএ এমএ রইছ, সাবেক এমপি আব্দুজ জহুরসহ আরোও অনেক পরলোকগত মূলধারার নেতার শোকসভা পর্যন্ত দলের উদ্যোগে করা হয়নি। সুযোগ সন্ধানী ছাত্র ইউনিয়ন, কমিউনিষ্ট পার্টি, জাসদ, বাসদ নেতাকর্মীরা দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে মিথ্যাতথ্য দিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কম্পিউটার কম্পোজ করা জীবনবৃত্তান্ত সরবরাহ করে তাতে এমপি মন্ত্রীদের সুপারিশ হাতিয়ে নিয়ে এমপি সভাপতি সেক্রেটারী ছাড়াও বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদ ভাগিয়ে নিচ্ছে। সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহন না করেও অনেকে হয়ে গেছে মুক্তিযোদ্ধা। রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতার পাশাপাশি দখল করে নিচ্ছে খেতাব উপাধি।
সুযোগ সন্ধানী বহিরাগত এসব নেতাকর্মীরা আওয়ামীলীগার বনে গিয়ে এখন টাকাওয়ালা বিএনপি ও জামাত নেতাকর্মীদেরকে দলে এনে আওয়ামীলীগার সাজাতে উঠেপড়ে লেগেছে। বাণিজ্যিকীকরনের সবচেয়ে নীচু স্তরে নিয়ে গেছে সাধারন মানুষের দল আওয়ামীলীগকে। এদের অন্যায় অপতৎপরতায় পদে পদে বঞ্চিত হচ্ছেন তৃনমূল পর্যায়ের আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা। তাই মাঠপর্যায়ের মূলধারার নেতাকর্মীরা এখন আওয়াজ তুলেছেন,“মূল আওয়ামীলীগ ঐক্য গড় রাজাকার মুক্ত আওয়ামীলীগ গড়ো ”।
সদর থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আমির হোসেন রেজা বলেন, ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের ছুরীকাঘাতের ক্ষত আমিসহ অনেক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাই বয়ে বেড়াচ্ছি। এই স্বার্থান্বেষীরা শুধু ছাত্রজীবনেই ছাত্রলীগকে ক্ষতিগ্রস্থ করে ক্ষান্ত থাকেনি। গণরাজনীতিতে এসেও আওয়ামীলীগকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে। মূলধারার আওয়ামীলীগার হওয়ার কারনেই এরা আমাদের আওয়ামীলীগের কমিটি থেকে নির্বাসিত করেছে। সব খানে নিজেদের সুবিধার্থে পকেট কমিটি দাড় করিয়েছে। বিএনপির সাথে হাত মিলিয়ে একসময় এরা আমার ইউপি চেয়ারম্যান পদ কেড়ে নিয়েছিলো। এমনকি জোটের প্রার্থী বেগম মমতাজ ইকবাল ও উপ-নির্বাচনে বর্তামান জেলা সভাপতি মতিউর রহমানের পক্ষে সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয়ে নিশ্চিত ভূমিকা পালনের পরও আমাকে দল থেকে বহিস্কার ঘোষণার অপচেষ্টা নেয়। কিন্তু বুঝা উচিত তাদের বহিষ্কারাদেশ আদৌ কোন নেতাকর্মী মানে কিনা?
জেলা কমিটির সহ-সভাপতি এডভোকেট খায়রুল কবির রুমেন এবং দফতর সম্পাদক সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি তনুজ কান্তি দে ও জেলা নেতা এডভোকেট মাজহারুল ইসলাম বলেন, ছাত্র ইউনিয়ন জাসদ বাসদ অবশ্যই অসাম্প্রদায়িক চেতনায় পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল। তারা আওয়ামীলীগে আসবেন নেতৃত্ব দেবেন এটাই স্বাভাবিক। তবে আমরা শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে প্রত্যাশা করছি আগামীতে জেলা আওয়ামীলীগে মূলধারার সাবেক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদেরকে সম্মানজনক পদে পদায়িত করার পরে ছাত্র ইউনিয়ন, জাসদ বা বাসদ হতে যোগদানকারীদেরকে কমিটিতে স্থান দেবেন। এতে ভিন্নতা হলে আওয়ামীলীগ ব্যক্তিলীগে পরিণত হবে। কারণ ছাত্র ইউনিয়ন এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের মধ্যে মূলত কোন তফাৎ নেই। এসব সংগঠন থেকে ব্যক্তিবাদ প্রতিষ্টায় নিয়োজিত ব্যক্তিরাই সরে দাড়ায়। একপর্যায়ে অতিলোভী ও বর্জোয়া হয়ে আত্মপ্রকাশ করেই এরা দল ত্যাগ করে। এই দলছুট নেতাকর্মীদেরকে আওয়ামীলীগে স্থান দেয়ার কারনেই আজকের জেলা আওয়ামীলীগের মধ্যে কোন্দল লবিং চলছে। অথচ মূলধারার নেতৃত্বে আনুগত্যের কোন ত্রুটি বিচ্যুতি নেই। এক নেতা এক দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ এই নীতিকে মেনে নিয়েই আমরা মূলধারার গতিশীল নেতৃত্ব প্রতিষ্টায় কাজ করেছি। আগে বরকত ভাই এগিয়ে চলো আমরা আছি তোমার সাথে এরকম কোন শ্লোগান মিছিল আওয়ামীলীগে ছিলোনা। জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয় শেখ হাসিনাই ছিল আমাদের শ্লোগান। এখন দেখছি বরকত ভাইসহ বসন্তের কোকিলদের নামে শ্লোগান হয়। এ থেকেই বুঝা যায় আগত অবাঞ্চিত নেতৃত্ব আমাদেরকে কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে। দলের বর্ষপূতী পালনে আজকে ত্রিধারায় বিভিক্ত হয় দল। ১৮ বছর পর দলের কাউন্সিলে সভাপতি সম্পাদক নির্বাচিত হলেও কেউ যেনো কারো নেতৃত্ব মানছেন না। জেলা কমিটি ঘোষিত হয়েছে তবু কোন্দল গ্রুপিং লেগেই আছে। নোংড়ামি পরিত্যাগ করে যতক্ষন পর্যন্ত দলে চেইন অফ কমান্ড মানা না হবে দলে ঐক্য কোন দিন ফিরে আসবেনা। দলের অনৈক্যের পিছনের কারনকে অনেকে তাই এই দলছুট নেতাদের নেতৃত্বকেই দায়ী করছেন।