রাবি শিক্ষার্থী সুমির সততা
বাজার থেকে কেনাকাটা করে কক্ষে ফেরেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমিয়ারা খাতুন সুমি। হঠাৎ খেয়াল করেন তার শপিং ব্যাগে এক লক্ষ টাকাসহ একটি ব্যাগ। হতভম্ব হয়ে যান সুমি। টাকা দেখে লোভ না করে বরং সততার পরিচয় দিয়ে টাকাটা তার যথাযথ মালিককে ফেরত দিয়েছেন তিনি। সুমি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় বিভাগের শিক্ষকদের উপস্থিতিতে টাকার মালিককে তার টাকা বুঝিয়ে দেন সুমি। সুমি জানান, বাজার থেকে ফিরে ব্যাগের মধ্যে এক লাখ টাকা দেখে ওই দোকানের শপিং ব্যাগে থাকা ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করেন তিনি। এসময় তাদের কিছু হারিয়েছে কি না জিজ্ঞেস করেন। কিন্তু তারা জানায় হারায়নি। পরে সুমি এ বিষয়টি বিভাগের কয়েকজন শিক্ষককে জানালে তারা পুলিশ অথবা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরকে জানাতে বলেন। এর কিছুক্ষণ পরেই ওই দোকানদার ফোন করে জানান তাদের ১ লাখ টাকা হারিয়েছে। তারা প্রামাণ দিতে পারায় তাদেরকে বিভাগে আসতে বলা হয়। শিক্ষকদের উপস্থিতিতে যাচাই-বাচাই শেষে টাকাটা তার মালিকের হাতে তুলে দেয়া হয়। সুমি বলেন, ‘কারো টাকার প্রতি আমার লোভ নেই। টাকাটা তার মালিকের কাছে পৌঁছে দেয়া আমার দায়িত্ব ছিল। আমার দায়িত্ব পালন করেছি। টাকাটা তার মালিককে দিতে পেরে প্রশান্তি পাচ্ছি।’
টাকার মালিক আশরাফুল আলম সেতু বলেন, ‘আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। টাকাটা হারালে বেশ ক্ষতি হতো। আসলে পৃথিবীতে এখনো অনেক ভাল মানুষ আছে। ওই ম্যাডাম নিজে ফোন না করলে আমি হয়তো আর আমার টাকা পেতাম না। তিনি চাইলেই পুরো টাকা নিয়ে নিতে পারতেন।’ তিনি বলেন, ‘আমি ম্যাডামকে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি তাও নেননি। মানুষের কেমন হওয়া উচিত আমি ওনার কাছে শিখেছি।’ ওই শিক্ষার্থীর এমন সততায় তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলে।