রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রণবকেই দেখার ইচ্ছা মমতার
কলকাতা: ভারতের রাষ্ট্রপতির ভোট নিয়ে চলছে জোড় তৎপরতা। এরইমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী আরো একবার প্রণব মুখার্জিকেই রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ক্ষমতাসীন দল বিজেপি প্রার্থী দিলেও প্রণব মুখার্জিকেই সব বিরোধী দলের সর্বসম্মত প্রার্থী করুক। সে ক্ষেত্রে এনডিএ ভেঙেও অনেক শরিক প্রণববাবুকেই ভোট দেবেন বলে মনে করছেন তৃণমূল নেত্রী। ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবন রাইসিনা হিলে পৌঁছাতে অনেক নেতাই চেষ্টা করছেন। শারদ পাওয়ার কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে গিয়ে রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী হতে ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন। কিন্তু সোনিয়া শারদকে প্রার্থী করতে চান না। রাহুল-সহ বিরোধী দলের অনেকে মনে করেন, পওয়ারের ভাবমূর্তি পরিচ্ছন্ন নয়।
অন্যদিদেক বর্তমান রাষ্ট্রপ্রতি প্রণব মুখার্জি অবশ্য একটি শিবিরের প্রার্থী হতে ইচ্ছুক নন। শুক্রবার মমতার দলের সংসদ সদস্য সুখেন্দুশেখর রায় তার সঙ্গে দেখা করেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রণববাবুর মত হলো- পাঁচ বছর রাষ্ট্রপতি থাকার পরে বিজেপি বনাম বিরোধী জোটের লড়াইয়ে না থাকাই বাঞ্ছনীয়। তবে দিল্লিতে প্রণববাবুর সঙ্গে বৈঠক করবেন মমতা। তিনি মনে করছেন, প্রণববাবুর নাম এলে পাল্টা প্রার্থী দিতেও চাপের মধ্যে পড়ে যাবে বিজেপি। নীতীশ কুমার, লালুপ্রসাদ থেকে শুরু করে এনডিএ শরিক শিবসেনার শীর্ষ নেতারা পর্যন্ত জানিয়েছেন, প্রণববাবুকে তারা সমর্থন করবেন। নবীন পট্টনায়কও ইউপিএ-র দিকে ঝুঁকে রয়েছেন। এ ছাড়া আগামী মঙ্গলবার সোনিয়ার সঙ্গে বৈঠক করবেন মমতা। আজই গঙ্গারাম হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী। রাষ্ট্রপতির ভোটের রণনীতি ঠিক করতে কেজরিওয়ালও এবার মমতার সঙ্গে দেখা করবেন। তৃণমূল নেত্রী চাইছেন, মোদী-বিরোধী লড়াই তীব্র করতে আম আদমি পার্টির পক্ষ থেকে কংগ্রেস বিরোধিতা লঘু করা উচিত।
রাষ্ট্রপতির ভোটকে সামনে রেখে বিরোধীদের একজোট করার কাজ এগোচ্ছে। লালুপ্রসাদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পরেই জনসভা করতে যাচ্ছেন পাটনায়। যেখানে মমতা শুধু নন, থাকবেন রাহুল, নীতীশ কুমারও। নীতীশ বিজেপির দিকে এগোচ্ছেন বলেই এত দিন মনে করছিল বিরোধীরা। নীতীশ এখন বুঝছেন, বিজেপির খাতায় নাম না লিখিয়ে দর কষাকষির জায়গা রাখা ভাল। আর সীতারাম ইয়েচুরি সোনিয়াকে বলেছেন, বিরোধীদের উচিত লোকসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা না করে মোদী-বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করা। নীতীশ যাতে বিজেপির দিকে পা না বাড়ান, সে জন্য তাকে ইউপিএ-র আহ্বায়ক করার কথা ভাবা হচ্ছে। -সংবাদমাধ্যম