রায়হানের পরিবারকে উপহার পাঠালেন সিলেটের পুলিশ কমিশনার
সিলেট::সিলেটে এসেই পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে মারা যাওয়া রায়হান আহমদের বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপপি)-এর নতুন কমিশনার মো. নিরাসুল আরিফ। এবার রায়হানের পরিবারের জন্য উপহারসামগ্রী পাঠালেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাহানের বাড়িতে পুলিশ কমিশনারের পক্ষে উপহারসামগ্রী নিয়ে যান এসএমপি’র কর্মকর্তারা। উপহার নিয়ে নগরের আখালিয়ায় রায়হানের বাড়িতে যান এসএমপি’র উপ কমিশনার (প্রশাসন) তোয়াফেল আহমদ, অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের এবং সহকারি কমিশনার (অর্থ) রাখি দাস।পরিবারের পক্ষে রায়হানের মা সালমা বেগম এবং স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি উপহার সামগ্রীগুলো গ্রহণ করেন। এসময় রায়হানের দুই মাস বয়সী শিশুকন্যাও তাদের সঙ্গে ছিলো। উপহারসামগ্রীর মধ্যে ফলমূল, শিশুখাদ্য ও শিশুর ব্যবহার্যের জিনিসপত্র ও পোষাক রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন নিশারুল আরিফ। ওই রাতে সিলেট এসেই তিনি রায়হানের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সমেবদনা জানান এবং রায়হান হত্যার ন্যায়বিচারের আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর ভোরে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন রায়হান আহমদ (৩৪) নামের এক যুবক। পরে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে তিনি মারা যান। রায়হান সিলেট নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি নগরীর রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে কাজ করতেন। এই ঘটনায় ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হেফাজতে মৃত্যু আইনে সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী। এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে রায়হানকে ফাঁড়িতে এনে নির্যাতনের প্রাথমিক প্রমাণ পায় কমিটি। এই তদন্ত কমিটির সুপারিশে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূইয়া, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটুচন্দ্র দাসকে সাময়িক বরখাস্ত এবং এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়। স্ত্রীর দায়ের করা মামলাটির তদন্ত করছে পিবিআই। এই মামলায় এ পর্যন্ত এএসআই আশেক-ই-এলাহি, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ ও টিটু চন্দ্র দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবর এখনো পলাতক রয়েছেন।