রিজার্ভ চুরিতে রাষ্ট্রীয় মদদ রয়েছে: এফবিআই
সাইবার নিরাপত্তা ফোরামে ল্যামন্ট সিলার বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাইবার চুরির বিষয়ে সব তথ্য আমাদের কাছে আছে, রাষ্ট্রীয় মদদে ব্যাংকিং খাতে এমন চুরির ঘটনার উদাহরণ সারাবিশ্বে একটিই। গত সপ্তাহে রয়টার্সে প্রকাশিত এক সংবাদে একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, এ সাইবার চুরির সাথে উত্তর কোরিয়া জড়িত বলে এফবিআই মনে করে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি তিনি। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই চুরির ঘটনার পর আন্তর্জাতিক তদন্তের নেতৃত্ব দেয় এফবিআই। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে হ্যাকাররা সুইফট কোড ব্যবহার করে নিউ ইয়র্ক ফেড থেকে রিজার্ভের এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ স্থানান্তরে একাধিক নির্দেশ দেয়।
তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। ফিলিপাইনে চীনা এক ক্যাসিনো মালিক জানান, তিনি সিনেটের তদন্ত কমিটিকে জানিয়েছেন যে, চীনের দুই শীর্ষ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কয়েক মিলিয়ন ডলার অর্থ তার কাছে এসেছে। ঢাকা থেকে ম্যানিলায় এ অর্থ স্থানান্তরের পেছনে ওই দুই ব্যক্তি দায়ী। বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির এ ঘটনায় একটি রেমিট্যান্স কোম্পানিসহ বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে ফিলিপাইনের তদন্ত কর্মকর্তারা। দেশটির বিচার বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়।