নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের চালান এসেছিল পাঁচ মাস আগে(!)। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এমনই তথ্য জানিয়েছেন আটকৃত মাদক ব্যববসায়ী শরীফ খান। তিনি জানিয়েছেন, এলাকার হূদয় নামে এক যুবক ওই সময় ডোবায় মাছ ধরতে গিয়ে একটি বস্তায় রাখা ১০টি অস্ত্র পেরেছিলেন। সেই অস্ত্র তিনিসহ (শরীফ) কয়েকজন ভাগ করে নেন। আর তার বাড়ি থেকে উদ্ধারকৃত অস্ত্র ছিল সেই দশটির একটি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির প্রধান ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।

এ দিকে গতকাল শনিবার বিকালে শরীফসহ আটকৃতদের দেয়া তথ্য মতে রূপগঞ্জ উপজেলার শীতলক্ষ্যা নদীর পাইশাকা (বাসন্দা) এলাকা থেকে ৫ টি এসএমজি উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া গতকাল সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উপজেলার পুর্বাচল উপশহরের ৫নং সেক্টরের ভুঁইয়া বাড়ি ব্রিজ সংলগ্ন গুতিয়াবো এলাকায় উদ্ধার হওয়া গ্রেনেড নিষ্ক্রীয় করে বোমা নিষ্ক্রীয়করণ দল। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। তবে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মামলা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছেন,  মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ  শফিকুল ইসলাম  ইত্তেফাককে বলেন, স্থানীয় লোকজন ও আটক চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা করা হচ্ছে। আটককৃতরা হলেন- শরিফ খান, শাহীন, রাসেল ও শান্ত। এদের বয়স ৩০-৩৫ বছরের মধ্যে। তিনি বলেন, আটকৃতদের দেয়া তথ্য মতেই গতকাল আরও ৫টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানিয়েছেন, তারা এসব অস্ত্রের চালানের  সাথে সরাসরি জড়িত নন।   আটক শরীফ খান জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া অস্ত্র কে এনেছিল, কারা ফেলে গেছে রাতে, সে সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। তবে তিনি ধারণা করছেন, ৫/৬ মাস আগে এসব অস্ত্র এখানে ফেলে রাখা হতে পারে।  তিনি এ সম্পর্কে বলেন, প্রায় পাঁচ মাস আগে  হূদয় নামে এলাকার এক যুবক। পুর্বাঞ্চল উপশহরের ওই ডোবায়  মাছ ধরতে ১০টি অস্ত্র পায়। এরপর বিষয়টি তাকে জানায় ( শরীফ)। এরপর শরীফসহ কয়েজন অস্ত্র গুলো ভাগ করে নেয়।

ডিআইজি শফিকুল ইসলাম বলেন, হূদয় নামের ওই যুবককে গতকাল পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, ওই যুবক এখন বাংলাদেশে নেই। তিনি বলেন  তবে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মূল চালানের সঙ্গে হূদয় বা শরিফদের কোনও সম্পৃক্ততা খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ দিকে  রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, আটকৃতদের দেয়া তথ্য মতে গতকাল বিকালে রূপগঞ্জ উপজেলার শীতলক্ষ্যার ভোলব ইউনিয়নের পাইশাকা (বাসন্দা) এলাকা থেকে ৫ টি এসএমজি উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি জানান, গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়নি। তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn