মাহবুব আলম :: আজ ১৯ শে ডিসেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহকর্মী, আওয়ামী লীগ নেতা, মুক্তিযুদ্ধে ৫ নং সেক্টরের বেসামরিক উপদেষ্টা, এম এন এ আব্দুল হকের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। মরহুম জননেতা আব্দুল হক ১৯৩০ সালে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁহার পিতার নাম মৌলভী আব্দুল ওয়াহিদ, মায়ের নাম মাহেবুন নেছা। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। ২য় ভাই মরহুম আবুল হাসনাত আব্দুল হাই (যিনি হাসনাত সাহেব নামে পরিচিত ছিলেন) ছাতক-দোয়ারা বাজার থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার বাদ যোহর গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি কলেজ মসজিদে ও মরহুমের গ্রামের বাড়ি ভাতগাও এ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। মরহুম জননেতা আব্দুল হক ১৯৫১ সালে সুনামগঞ্জ জুবিলী হাইস্কুল থেকে মেট্টিক পাশ করেন। পরে সুনামগঞ্জ কলেজে ভর্তি হন। তিনি ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে সুনামগঞ্জ ছাত্র সমাজের পক্ষে গুরুত্বপূর্র্ণ ভূমিকা রাখেন। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে তিনি যুক্তফ্রন্টের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ১৯৫৫ সালে ১৯২ (ক) ধারা জারি হলে তিনি গ্রেফতার হন এবং দীর্ঘ ১৩ মাস কারাভোগ করেন।  বিএ, এলএলবি ডিগ্রী লাভের পর তিনি ঢাকার হাইকোর্টের সদস্য হন। তিনি ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত ‘ওয়েষ্ট এন্ড হাইস্কুলে’ কয়েক বছর শিক্ষকতা করেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে ছাতক-জগন্নাথপুর নির্বাচনী এলাকা থেকে তিনি এম এন এ নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ৫নং সেক্টরের বেসামরিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। দেশ স্বাধীনের অল্প সময়ের মধ্যেই ১৯৭১ সালের ১৯শে ডিসেম্বর সিলেট থেকে সুনামগঞ্জে আসার পথে সড়ক দূর্ঘটনায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। সেদিন অল্পের জন্য বেঁচে যান তাঁহার সফর সঙ্গী বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মো. ইদ্রিস আলী বীরপ্রতীক)।  মরহুম জননেতা এম এন এ আব্দুল হক স্মরণীয় করে রাখার জন্য ১৯৭২ সালে গোবিন্দগঞ্জে আব্দুল হক স্মৃতি ডিগ্রী কলেজ স্থাপিত হয় এবং ছাতক-দোয়ারাবাজারের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের ঐকন্তিক প্রচেষ্টায় দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বাঁশতলায় এম এন এ আব্দুল হকের প্রতিকৃতি স্থাপন করা হয়।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn