লন্ডনে ঘুষ কেলেঙ্কারিতে জড়িত বাঙালি কাউন্সিলর ও ব্যবসায়ী
ফাঁস হওয়া অডিও নিয়ে তোলপাড়
ব্রিটেনের অন্যতম বৃহত্তম ভবন নির্মাণ প্রকল্পে ডেভেলপারের কাছ থেকে ২ মিলিয়ন ডলার (১৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা) ঘুষ চেয়েছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী আবদুস শুকুর। ঘুষ চাওয়ার সেই গোপন রেকর্ডে ফেঁসে গেছেন তিনি। গতকাল রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সানডে টাইমস অডিওসহ ওই ঘটনা প্রকাশ করে। আবদুস শুকুর স্থানীয় লেবার পার্টির প্রভাবশালী ঘনিষ্ঠজন বলেও জানায় তারা। সানডে টাইমসের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, লেবার পার্টির রাজনীতিবিদদের পক্ষ থেকেই ঘুষ চাইছিলেন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত আবদুস শুকুর। লেবার নিয়ন্ত্রিত টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের তৎকালীন ডেপুটি মেয়র ও ল্যান্সবেরি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শিরিয়া খাতুনের মাধ্যমে তিনি এ কাজে যুক্ত হয়েছিলেন। শিরিয়া খাতুনও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে অবৈধ এ চুক্তি সম্পাদনের জন্য ওই ব্যবসায়ী ডেভেলপারদের কাছে একটি লিখিত প্রস্তাবনা পাঠান। যেখানে জড়িত চার রাজনীতিবিদের প্রত্যেকে অর্ধ মিলিয়ন ডলারের অংশীদার বলে উল্লেখ করা হয়। টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল এই কেলেঙ্কারির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে জাতীয় অপরাধ এজেন্সির কাছে হস্তান্তর করেছে। অভিযুক্ত ব্যবসায়ী ৩৮ বছর বয়সী আবদুস শুকুর সালিসদার একজন উদ্যোক্তা এবং পূর্ব লন্ডনের হোয়াইট চ্যাপেলে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক। ফাঁস হওয়া রেকর্ডে, শাকুরকে ঘুষ নেওয়ার ব্যাপারে এফইসির লন্ডন প্রধান জন কোনলের সঙ্গে কথা বলতে শোনা যায়। টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলর শিরিয়া খাতুনই তাকে জন কোনলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন শুকুর।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিরিয়া খাতুন। তিনি এ বছরের শুরুতেই ডেপুটি মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে নতুন কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। পরে শিরিয়া খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে জাতীয় অপরাধ এজেন্সি (এফইসি) জানায়, অভিযোগের ব্যাপারে টাওয়ার অব হ্যামলেটের মেয়রকে অবহিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তারা সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের প্রকাশ ঘটিয়েছেন।