কাজী গুলশান আরা- প্রসঙ্গ গতকালের লেখার প্রেক্ষাপট এবং ইনবক্সে অসংখ্য গালিগালাজ উপহার পাওয়া। আমি লিখলাম ভাস্কর্য নিয়ে আর এরা পরলো আমার কাপড়-চোপড় নিয়ে। কোরাআনের কোন শব্দের সঠিক মানে জানতে হলে, ঐ একই শব্দ দিয়ে কোরানের অন্য আয়াতে কি বোঝানো হয়েছে, সেটা জানা জরুরী। এই পদ্ধতিকে বলে ‘তারতীল’, যার কথা বলা হয়েছে ৭৩:৪ নং আয়াতে। মদ ও গুন্নাহ পরিপূর্ণভাবে পরিত্যাগ করে, ধীর- স্থীরে বর্ণ ও অর্থের সঠিক শব্দ চয়নে কোরআন মজীদ পড়াকে তারতীল বলে। এছাড়াও নবীজির সাহাবীরা ছিলেন বিভিন্ন গোত্রের এবং গোত্রভিত্তিক ভাষা এবং তার শব্দ চয়নে ভিন্নতা ছিল। যেমন ভিন্নতা রয়েছে আমাদের আঞ্চলিক ভাষা গুলোতে। তারতীলের এই ভিন্নতাকেই কাঠমোল্লারা নিজেদের সুবিধায় কাজে লাগায়।
তাই আমাদের মনে রাখতে হবে ইসলাম ধর্ম মানবতার ধর্ম, মানবতা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কোন কিছু ইসলামে বলা নাই বা বলা হয়নি। আলেমরা তারতীলের অসুবিধা টুকুকে নিজেদের সুবিধায় রূপান্তরিত করেছেন। কোরআন ও হাদিসের ব্যাখ্যা তৈরি করেছেন নিজের মনের মত করে। এ কারণেই হয়ত নবীজি তাঁর বিদায় হজের ভাষণে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছিলেন “হে মানবজাতি” তিনি বলেননি “হে মুসলিম” তিনি আরও বলেছিলেন “তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কারণে তোমাদের পূর্ববর্তী অনেক জাতি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে” তাইতো গতকাল কোরআনের আয়াত তুলে ধরার পরও কাঠমোল্লাদের মুরিদরা কাঠমোল্লাদের বয়ানকেই কোরআনের উপর তুলে ধরছেন। আমরা কি জানি নিজের অজান্তে ইসলামের জন্য কত বড় ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনছি আমরা? (ফেসবুক থেকে নেওয়া)
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৭২ বার