লিবিয়ার অভিবাসী আটক কেন্দ্রে বিমান হামলায় নিহত বাংলাদেশির পরিচয় মিলেছে। তার নাম শাহজালাল কাজী। বাড়ি মাদারীপুরের মোস্তফাপুরে। তার মরদেহ দেশে পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন ত্রিপোলিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা। লিবিয়ার ত্রিপোলিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর এ এস এম আশরাফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ওই অভিবাসী শিবিরে হামলায় আরও কয়েকজন বাংলাদেশি আহত হন। দূতাবাস সূত্র জানায়, আহত কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। দুইজন চিকিৎসাধীন আছেন। সেখানে ১৩ জন বাংলাদেশি ছিলেন বলে জানতে পেরেছেন তারা। অভিবাসন কেন্দ্রে থাকা ১৩ জনের মধ্যে পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছেন। এরা সবাই সাগরপথে ইউরোপ যাওয়ার সময় কোস্ট গার্ডের হাতে আটক হন। হামলার পর এখন আপাতত সবাই মুক্ত। তারা বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আশরাফুল ইসলাম।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ভোররাতে ত্রিপোলির পূর্বাঞ্চলের ওই অভিবাসী আটক কেন্দ্রে বিমান হামলা চালানো হয়। এতে ৪০ জন নিহত হন। আহত হন কমপক্ষে ৮০ জন। বিবিসির খবরে বলা হয়, বিমান হামলায় বিস্ফোরণে নিহতদের অধিকাংশই আফ্রিকান অভিবাসী। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা যায়, ইউরোপে পাড়ি জমানোর জন্য অভিবাসীরা অন্যতম পথ হিসেবে বেছে নিয়েছে লিবিয়াকে। উন্নত জীবনের আশায় লিবিয়া হয়ে সহজে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা। ২০১১ সালে দেশটির দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক মুয়াম্মার আল গাদ্দাফি নিহত হওয়ার পর থেকে দেশটিতে সহিংসতা এবং বিভাজন বাড়ছে। দেশটির জরুরিসেবা বিভাগের মুখপাত্র ওসামা আলী এএফপিকে বলেন, যে ভবনটিতে বিমান সরাসরি আঘাত হেনেছে, সেটিতে ১২০ জন অভিবাসী ছিলেন। জাতিসংঘ সমর্থিত লিবিয়ার জাতীয় ঐকমত্যের সরকারের (জিএনএ) প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল-সেররা ত্রিপোলির তাজোরা শহরের অভিবাসী কেন্দ্রে বিমান হামলার জন্য স্বঘোষিত লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মিকে (এলএনএ) দায়ী করেছেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn