রাজন চন্দ-
তাহিরপুর উপজেলার শনি হাওরের ৩টি ফসল রক্ষা বাঁধ মারাত্মক ঝুঁকির মূখে । যে কোন সময় বাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে যেতে পারে হাওরের ১৫ হাজার হেক্টর বোর জমির ফসল। ঝুঁকির সম্মূখীন বাঁধগুলো হল,সাহেব নগর,লালুর গোয়ালা ও নান্টুখালী ক্লোজার বাঁধ। গত  কয়েকদিনের  টানা বৃষ্টি ও পাহাড় থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানি বৃদ্ধি পাওয়া অপরদিকে সঠিক সময়ে বাঁধে কাজ না করায় বাঁধগুলো  এখন মারাত্মক হুমকির মূখে পড়েছে। গতকাল শুক্রবার সরজমিন শনির হাওরে গিয়ে ঘুরে দেখা যায়,সাহেব নগর বাঁধটিতে কোন কাজ না করার কারনে নদীর পানি উপচে গতকাল শুক্রবার ভোর থেকে হাওরে পানি প্রবেশ করছে। উক্ত কাজের ঠিকাদার সুনামগঞ্জ এর পার্থ রায়। তিনি কিছু দিন পূর্বে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যকে কাজ করার দায়িত্ব দেন। ইউপি সদস্য কয়েকদিন সামান্য মাটির কাজ করে। পরর্বীতে ঠিকাদার পানি আসতে বিলম্ব হওয়ার বাঁধে আর মাটির কাজ করেননি।শুক্রবার সকালে হাওরে পানি প্রবেশ করলে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে মাটি কেটে কোন রকম বাঁধটি রক্ষা করেন। তাছাড়া বিগত বছর শনির হাওরে ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ লালুর গোয়ালার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ,বাঁধটি স্থানে স্থানে দেবে গেছে সেই সাথে বাধের নীচ দিয়ে চুইয়ে চুইয়ে হাওরের দিকে পানি প্রবেশ করছে। অপরদিকে নান্টুখালি বাঁধটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে সেই সাথে প্যালাসাইটিং এর জন্য বস্তা সেটিং না থাকায় উক্ত বাঁধটিও মারাত্মক হুমখির মূখে পড়েছে। যে কোন সময় বাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে যেতে পারে হাওরের ১৫ হাজার হেক্টর জমির বোর ফসল। তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, হাওরের বাধঁগুলোতে নি¤œমানের কাজ করায়  আমাদের একমাত্র বোরো জমির ফসল এখন  চোখের সামনেই তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বলেন, আমি বাঁধগুলো সরজমিন দেখেছি,বাঁধগুলো ঠেকাতে হলে জরুরী ভিত্তিতে বাঁধে কাজ করা প্রয়োজন। তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহ্ম্মাদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি সেই সাথে পাউবো কর্মকর্তাদের জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn