শহরের উকিলপাড়ার বর্ণালীও তার মায়ের প্রতারণায় বিপাকে সিলেটের যুবক
গত বছর ১৩ অক্টোবর গুরুতর সমস্যা ও জরুরী প্রয়োজন দেখিয়ে ৩ মাস পর ফেরত দেয়ার অঙ্গীকার করে অঞ্জনা রাণী সরকার জামাতা মো. সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে নগদ সাড়ে ৮ লাখ টাকা ধার নেন। পরবর্তীতে ১৩ ডিসেম্বর সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে তার শাশুড়ি অঞ্জনা রাণী সরকার হাওলাত হিসেবে আরও ৫ লাখ টাকা নগদ গ্রহণ করেন। এই টাকা পরিশোধের ব্যাপারে উভয়পক্ষে পৃথক দু’টি চুক্তিনামা সম্পাদন করেন। চুক্তিনামায় স্ত্রী আয়শা তৃতীয় পক্ষ হিসেবে জড়িত হন। অঞ্জনা রাণী সরকার যমুনা ব্যাংক সিলেট বন্দর বাজার শাখায় তার একাউন্টের চেক থেকে যথাক্রমে ৫ লাখ এবং সাড়ে ৮ লাখ টাকার পৃথক দু’টি চেক প্রদান করেন। যথাসময়ে নগদ টাকা ফেরত না পেলে মো. সিরাজুল ইসলাম এসব চেক সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা করেন। কিন্তু টাকা উত্তোলন করতে পারেন নি। টাকা উত্তোলন করতে না পেরে তিনি তার স্ত্রী আয়েশা আক্তার ও শাশুড়ি অঞ্জনা রাণী সরকারকে বিবাদী করে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন। এদিকে সিরাজুল ইসলামের এসব মামলা চলমান থাকা অবস্থায় তার স্ত্রী আয়েশা আক্তার ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম গ্রহণের তথ্য গোপন রেখে তার পূর্বের নাম বর্ণালী সরকার নাম উল্লেখসহ নিজেকে হিন্দু ধর্মের অনুসারী উল্লেখ করে মো. সিরাজুল ইসলামকে বিবাদী করে পাল্টা দুটি অভিযোগ আদালতে দাখিল করেন।
অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম এবং অপর অভিযুক্ত বালাগঞ্জের শিওরখাল গ্রামের লিমন আহমদ হাইকোর্ট থেকে গত ২১ মে আগাম জামিন নিয়েছেন। এ ব্যাপারে আয়েশা আক্তারের স্বামী মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার স্ত্রী একজন নওমুসলিম হিসেবে তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার সাথে আমার সংসার ভালো চলছিল। বিবাহের কয়েক মাস পর থেকেই তার স্ত্রী ও শাশুড়ি মিলে নানাভাবে অর্থ আত্মসাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। তারা হাওলাতের নামে আমার কাছ থেকে ১৩ লাখ টাকা নিয়েছে। এখন তারা না দিয়ে পাল্টা আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ষড়যন্ত্রমূলক মামলা থেকে নিস্কৃতি চাই এবং যারা আমার অর্থ আত্মসাত করেছে তাদের শাস্তি চাই। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আয়েশা আক্তারের মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে মামলার আইনজীবী সৈয়দা শিরীন আক্তার ও মাহমুদা বেগম মামলা দুটির কথা স্বীকার করেন এবং তা চলমান আছে বলে জানান। সূত্র: ইনকিলাব