সুনামগঞ্জ শহরের স্টেশন রোড এলাকায় একটি বাড়ীর সীমানা দেওয়ালের ভেতরে ঢুকে অন্য একটি ছেলে উচ্চস্বরে ফোনে কথা বলা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এসময় দুই পক্ষকে মধ্যস্ততা করতে গিয়ে শহরের বিশিষ্ট ওষুধ ব্যবসায়ী ফরিদ আহমদ একপক্ষের আক্রমণের শিকার হন। বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। ব্যবসায়ী ফরিদ আহমদ জানান, বুধবার বিকালে তাঁর আত্মীয়ের বাড়ীতে ঢুকে একটি ছেলে মুঠোফোনে অকথ্য ভাষায় কথা বলছে শুনে, তাঁর ফুফাতো ভাই শামসুদ্দোজা আহমদ সুজা ছেলেটিকে বাড়ির সীমানা থেকে বের হয়ে কথা বলতে অনুরোধ করেন। এই নিয়ে কথা কাটাকাটি ও উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ায় তাকে তাঁর ভাই শামসুদ্দোজা আহমদ সুজা ডেকে নেন। তিনি এই ঘটনা মিমাংসা করে দেবার কথা বলে দুই পক্ষকে সওে যাওয়ার অনুরোধ করেন। ইফতারের পর আবার ১০-১২ জন মিলে লাঠি-সোটা নিয়ে তাঁর ফুফাতো ভাই শামসুদ্দোজা আহমদ সাজা’র বাড়ীর ভেতরে ঢুকার চেষ্টা করে। এসময় আবার তাদের নির্বৃত্ত করতে তিনি এগিয়ে গেলে তাঁর (ফরিদ আহমদ) উপরও আক্রমণ করা হয়।
এ ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি দুটি আবেদন করা হয়েছে। শামছুদ্দোজা আহমদ সাজা বাদী হয়ে ৩ জনকে বিবাদী করে একটি আবেদন করেছেন। বিবাদীরা হলেন- জুবায়ের আহমদ অপু (৩৮), তিনি জেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক। অন্য বিবাদীরা হলেন- শিপলু চৌধুরী (৩০), শহরের তেঘরিয়ার বিল্লাল চৌধুরী’র ছেলে ও ফাহিম, শহরের বড়পাড়ার জামসেদ মিয়ার ছেলে।
এদিকে, একই ঘটনায় তেঘরিয়ার মুক্তিযোদ্ধা ফারুকুজ্জামান চৌধুরী’র ছেলে বাদী হয়ে তার উপর অন্যায়ভাবে আক্রমণের আরেকটি পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই মামলায় ব্যবসায়ী ফরিদ আহমদ (৫০), শামসুদ্দোজা আহমদ সাজা’র ছেলে আমিন (৩২), শামসুদ্দোজা আহমদ সাজা (৬০) ও সুজা মিয়ার ছেলে তানিম (৩৫)কে বিবাদী করা হয়েছে। জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমদ অপু বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের একজন কর্মী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হয়। পরে এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে মিমাংসা করার চেষ্টা করেছি। এরপরও আমাকে কেন দোষী করা হচ্ছে, আমি জানি না।’ সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. শহীদুল্লাহ্ বলেন,‘বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফরিদ আহমদ আক্রমণের শিকার হবার বিষয়টি সকলেই জানিয়েছেন। এই ঘটনা নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ হয়েছে। শহরের গণ্যমান্যরা বিষয়টি আজ (বৃহস্পতিবার রাতে) সামাজিকভাবে মিমাংসার উদ্যোগ নিয়েছেন। মিমাংসা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn