শিক্ষামন্ত্রীকে ভর্ৎসনা করলেন প্রধানমন্ত্রী
বৈঠকে সব মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবদের মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে বাড়তি ব্যয় না করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তোলা যেখানে কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন নিশ্চিত করতে চায় সরকার। এটাই মুজিববর্ষের চেতনা। এসময় প্রধানমন্ত্রী, সব স্থানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও ভাস্কর্য নির্মাণ না করার নির্দেশ দেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের একটি কর্মসূচিকে মুজিববর্ষের কর্মসূচি হিসেবে দেখাতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ উপলক্ষে বড় বাজেটের কর্মসূচি না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।’ মন্ত্রিসভায় অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, যারা অবসর ভাতা পান তারা যাতে ঘরে বসে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এটা পেতে পারেন, সেজন্য অর্থ মন্ত্রণালয় একটি কর্মসূচি নিয়েছিল আগেই। সেই কর্মসূচিকে মুজিববর্ষের কর্মসূচি হিসেবে দেখানো হচ্ছে। এ কর্মসূচির জন্য আলাদা খরচ করা লাগবে না। বাড়তি খরচ করা লাগবে এমন কর্মসূচি পরিহার করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে করা জাতীয় কমিটির কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে একটি বাজেট কমিটি গঠন করা হয়েছে। জাতীয় কমিটির অনেক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা লাগছে। মূলত খরচ সমন্বয় করতেই বাজেট কমিটি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দলীয় ব্যানারে কিছু কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে নির্দেশ দেওয়া আছে জাতীয় কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে এ দলীয় কর্মসূচি পালন করতে হবে।