শেখ মারুফ ও আনিসসহ ২০ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ
যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুর রহমান মারুফ, বহিষ্কৃত দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওসারসহ ২০ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছে এনবিআর। সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে হিসাব জব্দের জন্য পৃথক চিঠি পাঠানো হয়েছে। আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ১১৬ ধারার ক্ষমতাবলে ব্যাংক হিসাবের স্থগিতের এ আদেশ দেয়া হয়। চিঠিতে তাদের নিজস্ব ব্যাংক হিসাবের পাশাপাশি তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো টাকা উত্তোলন ও স্থানান্তর না করারও নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়া যুবলীগের সদ্যবিদায়ী চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, যুবলীগ নেতা কে এম মাসুদুর রহমান, কাউন্সিলর মিজানুর রহমান মিজান ও রাজিব এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব অনুসন্ধান ও জব্দের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এসব ব্যক্তির প্রতিষ্ঠানেরও ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে এনবিআর। যুবলীগের প্রভাবশালী প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুর রহমান মারুফ তার স্ত্রী সানজিদা রহমান, তাদের দুটি প্রতিষ্ঠান টি-টোয়েন্টিফোর গেমিং কোম্পানি লিমিটেড ও টি-টোয়েন্টিফোর ল’ ফার্ম লিমিটেডের ব্যাংক হিসাবের লেনদেনও স্থানান্তর করতে পারবেন না।
এছাড়া পৃথক চিঠিতে যুবলীগের সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, তার স্ত্রী শেখ সুলতানা রেখা, ছেলে আবিদ চৌধুরী, মুক্তাদির আহমেদ চৌধুরী ও ইশতিয়াক আহমেদ চৌধুরী এবং তাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান লেক ভিউ প্রোপার্টিজ ও রাও কনস্ট্রাকশনের হিসাব থেকেও কোনো টাকা উত্তোলন বা স্থানান্তর করা যাবে না। চিঠিতে ধানমন্ডির ৮/এ সড়কের ইস্টার্ন হেরিটেজ, রমনার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের ৪৫ নম্বর বাসা ও চট্টগ্রামের রাউজানের সূত্রাপুর ঠিকানা দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে যুবলীগ নেতা কে এম মাসুদুর রহমান, তার স্ত্রী লুতফুর নাহার লুনা, বাবা আবুল খায়ের খান, মা রাজিয়া খান এবং তাদের প্রতিষ্ঠান সেবা গ্রীন লাইন লিমিটেডের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যুবলীগের বহিষ্কৃত দপ্তর সম্পাদক আনিসুর রহমান, তার স্ত্রী সুমি রহমান, তার প্রতিষ্ঠান মা ফিলিং স্টেশন ও আরেফিন এন্টারপ্রাইজের ব্যাংক হিসাবও জব্দের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া কাউন্সিলর ‘পাগলা’ মিজান, তারেকুজ্জামান রাজীব ও তাদের পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। এর আগে সিআইসি থেকে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, নুর নবী চৌধুরী শাওন এমপি, সেলিম প্রধান, জিকে শামীম ও খালেদসহ বেশ কয়েকজন এবং তাদের পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়।