প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সততা ও দৃঢ় সাহসী নেতৃত্বের কারণে আগামী জাতীয় নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে বলে মনে করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের ১৭৩টি দেশের সরকারপ্রধানের মধ্যে শেখ হাসিনা পঞ্চম সৎ রাষ্ট্রনায়ক। তার এ সততাই আওয়ামী লীগের আগামী নির্বাচনের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।’ রবিবার বিকালে চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে প্রয়াত মেয়র এ বিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ এই স্মরণসভার আয়োজন করে। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। আগামী নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করার মাধ্যমে এ ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে হবে।’ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তিনবারের নির্বাচিত মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উন্নয়নে যে অসামান্য অবদান রেখেছেন তাতে নগরবাসী চিরদিন তাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সফল এই নগর পিতার রাজনৈতিক জীবন থেকে রাজনীতিবিদদের অনেক কিছু শেখার রয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগের নেতাদের জন্য শেখার অনেক কিছু রেখে গেছেন।’ কাদের বলেন, ‘মহিউদ্দিন চৌধুরী তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে চট্টগ্রামের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও শিক্ষা ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। যা নগরবাসী কখনও ভুলবে না।’ নেতাদের মানুষের চোখের ভাষা, মনের ভাষা বুঝতে চেষ্টা করার পরামর্শ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ব্যানারের ছবি ছিঁড়ে যাবে, বিলবোর্ডের ছবি মুছে যাবে কিন্তু হৃদয়ে লেখা, গাথা ছবি কখনো মুছে যাবে না। তেমনি করে মহিউদ্দিন চৌধুরীও কখনও মুছে যাবেন না। তিনি মানুষের হৃদয়ে আছেন, হৃদয়ে থাকবেন।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘প্রয়াত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী তৃণমূল পর্যায় থেকে রাজনীতি শুরু করেছিলেন। তিনি তার সাংগঠনিক শক্তি ও সাহসিকতার মাধ্যমে মানবতার জন্য কাজ করে গেছেন।’ মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর মহিউদ্দিন চৌধুরীই নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে প্রথম প্রতিবাদ করেছিলেন। মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুসলেম উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn