আজ সোমবার, শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ১৫ আগস্ট আমাদের জাতীয় শোক দিবস। শেখ মুজিবুর রহমান কেবল একজন ব্যক্তির নাম নয়, তিনি নিজেই এক অনন্যসাধারণ ব্যতিক্রমী ইতিহাস। সমাজ, দেশ ও কালের প্রেক্ষাপটে তিনি ব্যক্তি মুজিব থেকে হয়ে উঠেছিলেন বঙ্গবন্ধু। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক নেতা থেকে হয়ে ওঠেন ইতিহাসের মহানায়ক।

দীর্ঘ মুক্তিসংগ্রামের নেপথ্যের কারিগর বঙ্গবন্ধুর ডাকেই সমগ্র বাঙালি জাতি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল স্বাধীনতাযুদ্ধে। তার হাত ধরেই ১৯৭১ সালে বিশ্বের মানচিত্রে প্রথমবারের মতো অঙ্কিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশ। বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে তার নাম লেখা হয়ে যায় স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতিরূপে। কিন্তু স্বাধীনতার কয়েক বছর পর একদল অকৃতজ্ঞ বাঙালি নৃশংসভাবে হত্যা করে জাতির পিতাকে। ১৯৭৫ সালের এ মাসেই বাঙালি হারিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

এদিন ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেল এবং পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামালসহ পরিবারের ১৭ জন। ১৫ আগস্টের কালরাতের পর গোটা বিশ্বে নেমে আসে তীব্র শোকের ছায়া, ছড়িয়ে পড়ে ঘৃণার বিষবাষ্প। সেই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের ৪৬ বছর পেরিয়ে গেছে। আজও বাঙালি জাতি পদে পদে বঙ্গবন্ধুর অভাব অনুভব করে। বাঙালির প্রতিটি অর্জনে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয় ইতিহাসের মহানায়ক শেখ মুজিবুর রহমানকে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn