সংসদ নির্বাচনঃ জেলার ৫ আসনে আ’লীগে’র প্রার্থী কারা হতে পারেন
আগামী নির্বাচনের জন্য ক্ষমতাসীন আ.লীগ প্রার্থী যাচাই-বাছাই করছে। কেন্দ্রীয় আ.লীগ নিজস্ব সোর্স ছাড়াও বিভিন্ন সংস্থা স্থানীয়ভাবে প্রার্থীদের নাম, তথ্য সংগ্রহ করছে। অনেকটা ছোট পরিসরে প্রার্থীদের নাম যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। চারটি আসনে প্রার্থী ঠিক থাকলেও একটি আসন নিয়ে আ.লীগের নীতি নির্ধারকরা চিন্তিত বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর-জামালগঞ্জ-ধর্মপাশা) আসনে বর্তমান সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের সঙ্গে আরো দুটি নাম আলোচিত হচ্ছে। এর মধ্যে একজন আওয়ামী সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে ও অপরজন সিলেট আ.লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তারা হলেন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী অ্যাড. শামীমা শাহরিয়ার ও সিলেট জেলা আ.লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. রনজিত সরকার।
সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে এবারও সেন পরিবারের ভরসা আ.লীগের নীতি নির্ধারকদের। বর্তমান সাংসদ ড. জয়া সেনগুপ্তা নির্বাচন করতে চাইলে তাঁকেই মনোনয়ন দেয়া হবে। না হলে তাঁর ছেলে সৌমেন সেনগুপ্তকে মনোনয়ন দেয়া হতে পারে। এই আসনে আর কোন শক্তিশালী প্রার্থী নেই বলে জরিপে উঠে এসেছে।
সুনামগঞ্জ – ৩ (দক্ষিণ সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর) আসনে বর্তমান সাংসদ অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নানের উন্নয়ন ও জনপ্রিয়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে জরিপে। তাকে এই আসনে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে বলা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ – ৪ (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) গত নির্বাচনের মত এবারও জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমনের কথা বলা হয়েছে। তার নামই তালিকায় উপরের দিকে আছে। এছাড়া সাবেক সাংসদ ও জেলা আ.লীগের সভাপতি মতিউর রহমানের নির্বাচন করার ইচ্ছার কথা বলা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ – ৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) আসনে একক প্রার্থী হিসেবে বর্তমান সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিকের কথা বলা হয়েছে। এলাকার জনসম্পৃক্তা ও উন্নয়নের কারণে তার চেয়ে আর ভালো প্রার্থী নেই বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রাথমিক জরিপে।
জরিপ কাজের সঙ্গে জড়িত একজন বলেন, প্রাথমিকভাবে সাধারণ মানুষ, নেতাকর্মী, উন্নয়ন, জনসম্পৃক্তা নানা বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে জরিপ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই জরিপ করা হয়েছে। নির্বাচন ঘনিয়ে আসলে আরো যাচাই-বাছাই করা হবে।