সম্রাটের মুক্তির দাবিতে হাজার হাজার নেতাকর্মীর স্লোগান
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ক্যাসিনো সম্রাটখ্যাত ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয় মঙ্গলবার। এদিন সকাল থেকে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন তার কর্মীরা।সম্রাটকে আনার খবরে আদালতের বাইরের সড়কে জড়ো হয় কয়েক হাজার নেতা-কর্মী। এরপর তারা সম্রাটের মুক্তি চেয়ে একের পর এক স্লোগান দিতে থাকেন। জড়ো হওয়া বহু নেতা-কর্মীর হাতে ছিল সম্রাটের ছবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন। যেগুলোতে সম্রাটকে মুক্তি চেয়ে স্লোগান দেখা যায়। গত বছর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর সম্রাটের নাম আসার পর থেকেই তাকে নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়। অভিযান শুরুর পর হাইপ্রোফাইল কয়েকজন গ্রেফতার হলেও খোঁজ মিলছিল না সম্রাটের। এসবের মধ্যে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়। গত বছরের ৫ অক্টোবর রাতে তার গ্রেফতার হওয়ার খবর পাওয়া যায়। পরদিন ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা সম্রাটকে গ্রেফতার করে র্যাব। তার সঙ্গে আরমানকেও গ্রেফতার করা হয়। পরে ঢাকায় এনে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। ৬ অক্টোবর দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তালা ভেঙে সম্রাটের কার্যালয়ে ঢুকে অভিযান শুরু করে। নিজ কার্যালয়ে পশুর চামড়া রাখার দায়ে তার ছয় মাসের জেল দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া র্যাব-১ বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় সম্রাটের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে। দুই মামলার বাদী র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক।
৬ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে অস্ত্র মামলায় চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপপরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক। চার্জশিটে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, সম্রাটের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তিনি লাইসেন্সবিহীন অস্ত্র নিজ হেফাজতে ও নিয়ন্ত্রণে রাখায় তার বিরুদ্ধে আনা অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। গত বছরের ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় মাদক আইনে করা মামলায় ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপপরিদর্শক আবদুল হালিম।-পূর্বপশ্চিমবিডি