সরকার অন্ধ হয়ে আছে:: ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘এই সাত তলা দুইটা বাড়ি, সাত জনের ১০ তলা বাড়ি, কারও শত কোটি টাকা— এর চেয়েও বড় দুর্নীতি আমি মনে করি সরকারের নৈতিক থেকে অবস্থান হয়েছে। এখানে ভোট হয় না। আমি বিচারপতিদের জিজ্ঞাসা করতে চাই, এই নির্বাচন নিয়ে ৭০টি মামলা হয়েছিল, সেই মামলাগুলোর অবস্থা কী? এই মামলার সঠিক রায়টা দেওয়ার সাহস আপনাদের নেই?’ তিনি বলেন, ‘যখন দেশে অনাচার হয়, ব্যথায় মানুষ নীল হয়ে যায়, কথা বলার সাহস হারিয়ে ফেলে, তখন ছাত্রসমাজ রুখে দাঁড়ায়। এটা আমরা জেনেছি ১৯৫২ সালে, ১৯৭১ সালে। সম্প্রতি দেশের সর্বক্ষেত্রে যখন চূড়ান্ত রকম অব্যবস্থাপনা, তখন ছাত্র অধিকার পরিষদ মাঠে নেমেছে। তাদেরকে পুলিশ মারছে, লাঠিপেটা করছে, আবার মামলাও দিচ্ছে। এ ধরনের স্বৈরাচারনীতি দেশের জন্য কখনো মঙ্গল বয়ে আনে না।’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘এটা বন্ধ করুন। এটা আপনার স্বার্থেই বন্ধ করা প্রয়োজন। ন্যায়, নীতি, সুষ্ঠু, সুশাসন আপনার জন্যই প্রয়োজন। আজকে ছাত্রদের প্রত্যেকটা দাবি ন্যায়সঙ্গত। ভিপি নুর যদি অন্যায় করে থাকে, তাহলে তার বিচার করেন, কিন্তু হয়রানি করা যাবে না। ছাত্র রাজনীতিতে প্রতিবাদ থাকবে। অথচ তাদেরকে বের হতে দেবেন না। জনগণকে বের হতে দিচ্ছে না— এটা দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গলজনক হবে না।’ তিনি বলেন, ‘আজকে গাড়ির ড্রাইভার দুর্নীতি করে, কিন্তু একজন শিক্ষিত ব্যক্তি, উনি উপাচার্য। উনার চাকরি রংপুরে, থাকেন ঢাকায়! এটা দুর্নীতি না? এই জাতীয় দুর্নীতিগুলো বন্ধ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে সাহসের সঙ্গে পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে যেভাবে সব কিছু চলছে, তাতে আমাদের সামনে দিকে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন কোনোদিনও পূরণ হবে না।’