সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে তলব
বার্তা ডেক্সঃঃচাঞ্চল্যকর সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত সাত বছরেও শেষ না হওয়ায় তার ব্যাখ্যা দিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৬ নভেম্বর মামলার সিডিসহ তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের এএসপি মহিউদ্দিনকে হাজির হতে বলা হয়েছে। রোববার (২০ অক্টোবর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ওই ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে অভিযোগ ওঠা তানভীর রহমানের নামের এক ব্যক্তির মামলা বাতিল চেয়ে করা আবেদনের শুনানিতে এ আদেশ দেওয়া হয়। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পী আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আদালতে তানভীরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন। মো. সারওয়ার হোসেন বলেন, দীর্ঘ ৮ বছর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়ার বিষয়টি আদালতের নজরে এসেছে। আদালত বলেছেন, তদন্ত শেষ হবে কবে। তদন্ত কি অনন্তকাল ধরে চলবে। শুনানি নিয়ে আদালত তানভীরের ক্ষেত্রে মামলাটির কার্যক্রম কেন বাতিল করা হবে না এ মর্মে রুল দিয়েছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছেন। সাগর-রুনি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারের ২৬ মাস জামিনে কারাগার থেকে বরে হন তানভীর রহমান। তানভীরের বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে। তিনি ঢাকায় উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরে থাকেন। তানভীর রহমান ২০১২ সালের ১ অক্টোবর তাঁর কর্মস্থল স্কলাসটিকা স্কুলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় উত্তরা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তাঁর পরিবার। এরপর ৯ অক্টোবর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে জানান, সাগর-রুনি হত্যা মামলায় তানভীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে উচ্চ আদালত থেকে তিনি জামিন পান। এরই ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে তিনি মুক্তি পান। ২০১২ সালের ১০ই ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে ভাড়া বাসায় খুন হন সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি। এ বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেন মেহেরুন রুনির ছোট ভাই নওশের আলম। সাংবাদিক দম্পতি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ৬৮ বারেও জমা দিতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তা।।