সিরিয়ায় আইএস আত্মঘাতি হামলায় নিহত ৩৮
সিরিয়া যুদ্ধ পর্যবেক্ষণে থাকা যুক্তরাজ্যকেন্দ্রিক একটি মানবাধিকার সংস্থা জানায়, মঙ্গলবার সকালের দিকে শাদ্দাদির পূর্বে রাজম আল-সালিবি এলাকায় ক্যাম্পের বাইরে এবং ভিতরে অন্তত পাঁচ জন আইএস জঙ্গি এ আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায়। বোমা হামলা ও পরবর্তী সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩৮ জন নিহত হয়, এদের মধ্যে ২৩ জন বেসামরিক নাগরিক এবং আহত হয় অন্তত ৩০ জন। সিরিয়ার সরকারী সংবাদ সংস্থা সানা নিউজ এজেন্সি সূত্রে, ৩০ জনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৩৪ আহত হয়েছে বলে জানা যায়। কিন্তু তারা এটা আত্মঘাতী বোমা হামলা ছিল কিনা সে ব্যাপারে কিছু উল্লেখ করেনি। এসডিএফ যোদ্ধারা হাশেখ শহরে হাসপাতালগুলিতে আহত বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করে। সানা কর্তৃক প্রদত্ত চিকিৎসা সূত্রে জানা যায়, তাদের বেশিরভাগকেই গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এসডিএফ যোদ্ধারা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করে বলে সানা সূত্রে জানা যায়। ইরাকি সেনাবাহিনীর একটি সূত্র থেকে জানা যায়, ক্যাম্পে হামলার সময় জঙ্গিরা কয়েক ডজন নাগরিককে অপহরণ করেছে। যদিও রিপোর্টটি যাচাই করা সম্ভব ছিল না তবে ইরাকি সংসদের মানবাধিকার কমিটির প্রধান বৈরুত ভিত্তিক আল-মায়াদিন টেলিভিশনে একটি সাক্ষাৎকারে একই ধরনের অভিযোগ উত্থাপন করেন এবং সানা আহতদের কয়েকজনকে উদ্ধৃত করে বলে যে, তারা কয়েক ডজন তাদের আত্মীয়দের সাথে যোগাযোগ হারিয়েছে।
হামলার সময় প্রায় ৩০০ পরিবার রাজিম আল-সালিবিতে জড়ো হয়েছিল, স্বল্প আবাস ও কোলাহলপূর্ণ এ ক্যাম্পে প্রবেশে এসডিএফ’র অনুমতি ও নিবন্ধনের জন্য। সেখানে ছিল সিরিয়ার রিক্কা এবং দেইর আল-জওর প্রদেশ থেকে এবং গত অক্টোবরের পর থেকে মোসুল থেকে সিরিয়ায় পালিয়ে আসা কয়েক হাজার ইরাকী নাগরিক দ্য চ্যারিটি সেভ দ্য চিলড্রেন বলছে, আক্রমণের ফলে প্রায় ৪০০ জনকে রাজিম আল সালিবি থেকে আল-হাওয়ালে অন্য এক শিবিরে স্থানান্তর করা হয়েছে। “উদ্বাস্তু এবং অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের জন্য শরনার্থী শিবিরগুলি যুদ্ধ, সহিংসতা ও নিপীড়ণ থেকে পালিয়ে আসা মানুষের আশ্রয়,” সংগঠনটির সিরিয়া দেশের পরিচালক সোনিয়া খুশ বলেন। “সংঘাতের জন্য সকল দলকে নিশ্চিত করতে হবে যে শরণার্থী এবং অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতদের জন্য নির্মিত শিবিরগুলো হচ্ছে মানুষের আশ্রয়ের জায়গা, এখানে কোন যুদ্ধ নয়।” সূত্র : বিবিসি।