সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলায় শিশুসহ ৭২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহতের জের ধরে দেশটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পেন্টাগনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মার্কিন নৌবাহিনী পূর্ব ভূমধ্যসাগরে সিরিয়ার একটি বিমান ঘাঁটিতে অন্তত ৫০টি টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। টেলিভিশনে দেয়া এক বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, মঙ্গলবার ওই ঘাঁটি থেকেই হামলা চালানো হয়। সিরিয়ার সঙ্কট নিরসনে ‘সব সভ্য’ জাতিকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান তিনি। এর আগে সিরিয়ার হামলাকে মানবতার চরম অবমাননা আখ্যায়িত করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছিলেন, যখন আপনি নিষ্পাপ সন্তানদের, নিষ্পাপ শিশুদের এবং ছোটো বাচ্চাদের হত্যা করবেন তখন এটা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাবে। মঙ্গলবার যা হয়েছে তা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। সিরিয়া ও আসাদের বিষয়ে আমার মনোভাব ইতোমধ্যেই অনেক পরিবর্তিত হয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এক বৈঠকে সিরিয়ার বিষয়ে নতুন কোনো নীতি গ্রহণ করছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘দেখতে পাবেন।’ হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র জানান, মার্কিন নৌবাহিনীর ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের লক্ষ্যবস্তু ছিল সিরিয়ার ইদলিব খান শেইখোনের রাসায়নিক হামলায় জড়িতরা। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস মঙ্গলবারের ওই রাসায়নিক হামলা আসাদ সরকারের ইঙ্গিতেই চালানো হয়েছে। ওই হামলায় রাসায়নিক নার্ভ এজন্ট সারিন গ্যাস ব্যবহার করারও অভিযোগ করেন তিনি।মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এর আগে বলেছেন, সিরিয়ার ভবিষ্যতের ব্যাপারে বাশার আল আসাদের কোনো ভূমিকা থাকতে পারে না।

সিরিয়া বিরুদ্ধে যেসব সামরিক পদক্ষেপের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র, তার মধ্যে রয়েছে সিরিয়ার বিমানগুলো আর উড়তে না দেয়া আর ক্রুজ মিসাইল হামলা চালিয়ে সিরিয়ার রাডার ব্যবস্থা নষ্ট করে দেয়া। নিউইয়র্কে নিরাপত্তা পরিষদে উত্তপ্ত এক বিতর্কে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিক্কি হ্যালে জানান, জাতিসংঘ যখন একের পর এক তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ, সেখানে আমরা নিজেরাই এর বিচার করবো। সিরিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ তোলা হলেও, দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ তা বরাবরই নাকচ করে আসছেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn