সিলেট :: সিলেট নগরীর ভ্রাম্যমাণ হকারদের স্থায়ী ঠিকানা করে দিতে গতকাল বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে কাজ শুরু করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন। সিলেট মহানগর পুলিশের সহায়তায় নগর ভবনের পেছনের (লালদিঘীর পারস্থ) খালি মাঠে এক হাজারের অধিক হকারকে পুনর্বাসন করা হবে। জানা গেছে, নগরীর রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে দোকান বসানো ভ্রাম্যমাণ হকারদের স্থায়ী ঠিকানা করে দিতে নগর ভবনের পেছনের খালি মাঠে জায়গা করছে সিসিক ও এসএমপি। সে লক্ষ্যে গতকাল বুধবার থেকে কাজ শুরু হয়েছে। আজ মাঠে খুঁটি গেড়ে বাঁশ বেঁধে দোকান তৈরির কাজ চলছে।  গতকাল বুধবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নগর ভবনের পেছনের মাঠে বাঁশের খুঁটি গেড়ে তাতে সুতা বেঁধে দোকানের লাইন এবং সীমানা টানা হয় এবং মাইকে ডেকে ডেকে লটারির মাধ্যমে হকারদের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়। সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদের তত্বাবধানে চলে কার্যক্রম। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান এসেসর চন্দন দাশ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।
এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই মাঠে গিয়ে দেখা যায়- গতকালের দেয়া সুতার লাইন বরাবর মাটিতে বাঁশের খুঁটি গেড়ে, উপরদিকে বাঁশ বেঁধে দোকান তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে। আজও কাজের তত্বাবধানে আছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদ।  এসময় তিনি সিলেটভিউ-কে বলেন, এখনই বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। আমরা গোপনীয়ভাবে একটি তালিকা করেছি। তাদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে দোকান বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। কে কতটুকু জায়গা পেয়েছেন, মোট কতজন পেয়েছেন, তা কাজ শেষে বলা যাবে।  নগরীর সবচেয়ে ব্যস্ততম বন্দর-জিন্দাবাজার-চৌহাট্টা সড়ক ও ফুটপাত সম্প্রতি সম্প্রসারণ ও সংস্কার করেছে সিটি করপোরেশন। তবে সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার আগে এই সড়কের বেশিরভাগ অংশ ও ফুটপাত দখলে নিয়ে নিয়েছে হকাররা। এছাড়াও পুরো বন্দরবাজারের সকল সড়কই হকারদের দখলে। সিটি কর্তৃপক্ষ হকার উচ্ছেদে নামলেই হকাররা আন্দোলন শুরু করেন। তাই হকারদের দাবির প্রেক্ষিতে নগরীর প্রাণকেন্দ্রের সড়কককে হকারমুক্ত করতে বিশেষ উদ্যোগে নিয়েছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও এসএমপি কর্তৃপক্ষ। নগর ভবনের পেছনের খালি মাঠে এক হাজারের অধিক হকারকে পুনর্বাসনের জন্য বুধবার থেকে জায়গা ভাগ করা শুরু হয়েছে। কাজটি শেষ করতে কয়েকদিন লাগবে। হকারদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার আওতায় এনে সিটি করপোরেশন থেকে লাইসেন্সও প্রদান করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে নগর ভবনের পেছনের খালি মাঠে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১ হাজার ৭০ জনের তালিকা করা হয়েছে বলে এসএমপি সূত্রে জানা গেছে।  

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn