সিলেটের কোন উপজেলায় কতজন করোনা রোগী
সিলেট:: নোবেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে সিলেটে। মাত্র ৩৯ দিনে সিলেট জেলায় পাওয়া গেছে ১০৩ জন করোনা রোগী। গত ৫ এপ্রিল সিলেটে প্রথম এক চিকিৎসকের শরীরে শনাক্ত হয়েছিল এ ভাইরাস। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারি অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দিনের শরীরে ধরা পড়েছিল করোনা। চিকিৎসারত অবস্থায় গত ১৭ এপ্রিল তিনি মারা যান। সেই থেকে আজ বৃহস্পতিবার ( ১৪মে) পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই সিলেট জেলায় পাওয়া যাচ্ছে করোনা রোগী। সিলেটের ১৩ উপজেলার সবকটিতেই পাওয়া গেছে করোনায় আক্রান্ত রোগী। সবেচেয়ে বেশি করোনা পাওয়া গেছে সিলেট সদর উপজেলায়। স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় অফিসের সহকারি পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান সিলেটভিউকে জানান, বুধবার সকাল পর্যন্ত সিলেট সদর উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে ৬৩ জন। এছাড়া জকিগঞ্জ উপজেলায় ৬ জন, কানাইঘাটে ১, বিয়ানীবাজারে ৫, গোলাপগঞ্জে ২, দক্ষিণ সুরমায় ১, ফেঞ্চুগঞ্জে ১, বালাগঞ্জে ৩, ওসমানীনগরে ১, জৈন্তাপুরে ১, গোয়াইনঘাটে ২ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পাওয়া গেছে ২ জন করোনা রোগী। এ হিসেবে ১২টি উপজেলায় ৮৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত সরকারি হিসেবে এসব রোগী শনাক্ত করা হয়। এছাড়া বুধবার সকাল ৮টা পর থেকে বৃহস্পতিবার (১৪ মে) রাত ৮ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলায় আরও ১৫ জনের শরীরে পাওয়া গেছে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব। এই ১৫ জনের বাড়ি জেলার বিভিন্ন উপজেলায়। বিশ্বনাথেও করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ইতিমধ্যে, যা খাতায় লিপিবদ্ধ হয়নি এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত। সবমিলিয়ে সিলেটে পাওয়া গেছে ১০৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী।
সিলেট সদর উপজেলায় করোনা রোগী বেশি পাওয়া গেছে এর ব্যাখা দিয়ে ডা. আনিস সিলেটভিউকে জানান, যাদের নমুনা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও শামসুদ্দিন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে এবং এরমধ্যে যাদের ফলাফল পজেটিভ এসেছে তাদেরকে সিলেট সদর উপজেলার হিসেবে ধরা হয়েছে।তিনি জানান, এই ৬৩ জন এমন নয় যে, সদর উপজেলায় বসবাস করেন। তাদের অনেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা কিংবা অন্য জেলার বাসিন্দা। শুধু স্থানীয়ভাবে পরীক্ষা করার কারণে সদর উপজেলার তালিকায় তাদের নাম উঠেছে