সিলেটের গৃহকর্মী খাদিজাকে নিতে আসেনি পরিবার!
বার্তা ডেস্ক :: রাজধানীর কাকরাইলের কর্ণফুলী গার্ডেন সিটির পাশে ১৫তলা একটি ভবনের দশম তলার বারান্দার কার্নিশে ঝুলে থাকা সেই গৃহকর্মী খাদিজা (১৪) রাখা হয়েছে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে।তবে এখনও তার পরিবার তাকে নিতে আসেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত)জহিরুল ইসলাম। পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম বলেন,ওই কিশোরীকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে।বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হয়েছে। তবে তার পরিবারের কেউ এখনও তাকে নিতে আসেনি। খাদিজাকে দেখভালের কেউ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, খাদিজাকে দেখার মতো কেউ নেই।অনেক আগেই খাদিজার বাবা তার মাকে তালাক দিয়েছে।খাদিজার মা ও বাবা দু’জনই অন্যত্র আবার বিয়ে করেছেন।খাদিজার এক মামা তাকে ওই ভবনে কাজ দেয়।
মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে কর্ণফুলী গার্ডেন সিটির পাশে ১৫তলা একটি ভবনের দশম তলার বারান্দার কার্নিশে খাদিজাকে ঝুলতে দেখে সেখানে উৎসুক জনতার জটলা বাঁধে।খবর পেয়ে আসে পুলিশও।ততক্ষণে বারান্দার গ্রিলের জানালা খুলে মেয়েটিকে উদ্ধার করে দশতলায় বি-১০ ফ্ল্যাটে গৃহকত্রী হাবিবুর রহমান ও লাভলী রহমান।পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়। পুলিশ জানায়,খাদিজা নামের এই কিশোরী দশতলায় বি-১০ ফ্ল্যাটে হাবিবুর রহমান ও লাভলী রহমানের গৃহকর্মী।অন্য এক গৃহকর্মীর সঙ্গে ঝগড়া করে সে বারান্দার গ্রিলের ফোকর দিয়ে পালাতে চেয়েছিল।তবে গৃহকর্ত্রী লাভলী রহমান তাকে উদ্ধার করেন। লাভলী রহমান পুলিশকে জানিয়েছেন,খাদিজা ও হেলেনা নামে তার দুই গৃহকর্মী রয়েছে।দু’জনের মধ্যে ঝগড়ার পর খাদিজা পালাতে চেয়েছিল। খাদিজা এক বছর ধরে তার বাসায় ছিল।তার বাড়ি সিলেটে। তবে ওই কিশোরীর ঝুলে থাকা ছবিতে দেখা গেছে,বারান্দার ভেতর থেকে এক নারী তার দিকে তাকিয়ে কিছু বলছিলেন।তবে তাদের মধ্যে কি কথা হয়েছে তা জানা যায়নি।এ ছাড়া মেয়েটি ঝূঁকিপূর্ণভাবে ঝুলে আছে কেন? নিচে থেকে তা ঠিক বোঝাও যায়নি। সৌজন্যে : যুগান্তর