সিলেটে গ্যাস সংকট চরমে বাসা-বাড়িতে চরম জনদুর্ভোগ
সিলেট :: সিলেট নগরীতে পাইপ লাইনে গ্যাসের সংকট বেড়েছে। এতে করে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন কল-কারখানা ও বাসা-বাড়িগুলোতে চরম জনদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, গত কয়েক দিন ধরে গ্যাসের সংকটে তারা সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। প্রতিদিন সকাল থেকেই দুর্ভোগ শুরু হলেও সংশ্লিষ্টরা রয়েছেন নিশ্চুপ। নগরীর অনেক ওয়ার্ডে সকাল আট থেকে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। বিকাল চারটা-পাঁচটা পর্যন্ত এই অচলাবস্থা বিরাজ করে। এরপর গ্যাস এলেও রাত সাতটা-আটটা পর্যন্ত তা নিবু নিবু অবস্থায় জ্বলে। তাতে রান্নাসহ প্রয়োজনীয় কাজ করা যায় না। নগরীর কুমারপাড়া এলাকার বাসিন্দা কামরুজ্জামান জানান, ‘আমাদের এলাকায় তিন দিন ধরে গ্যাসের সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। আমার বাসায় সকাল ন’টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত গ্যাস থাকে না। বিকেল পাঁচটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত নিবু নিবু অবস্থায় জ্বলে। আমরা খুব সমস্যায় আছি।’ এই অবস্থা নগরীর নয়াসড়ক, কাজীটুলা, শাহী ঈদগাহ্, নাইয়রপুল, সুবহানীঘাট, আম্বরখানা, শেখঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায়। সিএনজি ফিলিং স্টেশনেও গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় সিএনজিচালিত যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। কখন গ্যাস থাকবে, কখন থাকবে না, তা নিয়ে ফিলিং স্টেশনের মালিকেরাও চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন। জালালাবাদ গ্যাস টি অ্যান্ড ডি সিস্টেম লিমিটেডের ম্যানেজার মুশফিকুল ইসলাম আনুয়ারী জানান, শীতকালে গ্যাস সরবরাহ কিছুটা কমে যায়। এ সময় গ্যাসের উৎপাদনও কম হয়। তারপরও সংকট থেকে উত্তরণের চেষ্টা করছি। গ্যাস সংকটের বিষয়টি জালালাবাদ গ্যাস টি অ্যান্ড ডি সিস্টেম লিমিটেড কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হলেও এখনো গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিকের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। সিলেট নগরীর কুমারপাড়া, ঝেরঝেরীপাড়া এলাকার গ্রাহকেরা অভিযোগ করে বলেন, প্রয়োজনের সময় গ্যাসের স্বাভাবিক সরবরাহ না পাওয়ায় আন্দোলনে নামতে হবে তাদের। দ্রুত গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে রাস্তায় নামতে বাধ্য হবেন বলে জানান কুমারপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবদুস শহীদ।