সিলেটে টয়লেটে আপত্তিকর অবস্থায় ভার্সিটির ছাত্রছাত্রী
সিলেটের একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের টয়লেটে আপত্তিকর অবস্থায় এক জোড়া ছাত্রছাত্রীকে আটক করেছেন ব্যবসায়ীরা। বিক্ষুব্ধ কয়েকজন ব্যবসায়ী বেদম পিটুনি দেন ঐ ছাত্রছাত্রীকে। পরে কয়েকজন সাংবাদিকের সহযোগিতায় তাদেরকে জনতার রোষানল থেকে উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে ২১ মার্চ (মঙ্গলবার) বিকেল ৫টার দিকে।
জানা যায় ঐ ইউনিভার্সিটির ছাত্র রতন ও ছাত্রী বীণা (ছদ্মনাম) মঙ্গলবার বিকেলে টাওয়ারের ৩য় তলার একটি শৌচাগারে ঢুকে অনেক্ষণ না বের হওয়ায় পার্শ্ববর্তী দোকানের ব্যবসায়ীদের নজরে আসে। এ ছাত্র-ছাত্রী দুজন একই শৌচাগার থেকে ২০ মিনিট পর বের হওয়াতে ব্যবসায়ীরা তাদের ঘিরে ধরলে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় ব্যবসায়ীরা তাদের ‘একই টয়লেটে তোমরা ২জন এতক্ষণ কি করছিলে’ প্রশ্ন করলে তারা কোনো সদুত্তর না দিয়ে ব্যবসায়ীদের পা ধরে ক্ষমা চাইতে থাকেন। তখন উত্তেজিত কয়েকজন ব্যবসায়ী তাদের উত্তম-মধ্যম দিতে শুরু করলে ছাত্র-ছাত্রী দুজন কান্নায় ভেঙে পড়ে বার বার ক্ষমা চাইতে থাকে। এক পর্যায়ে উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিক তাদেরকে উদ্ধার করে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেন। ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে ব্যবসায়ীরা চলে আসেন।
টাওয়ারের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ- ইউনিভার্সিটির কতিপয় ছেলে-মেয়েরা প্রতিদিনই টাওয়ারে বিভিন্ন ফ্লোরে আনাচে-কানাচে জোড়ায় জোড়ায় বসে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হন। টাওয়ারের ৪দিকের ৪টি সিঁড়িই এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য যেন ঢাকার রমনা কিংবা যমুনা পার্ক। টাওয়ারের ব্যবসায়ী কিংবা আগত লোকজনের সামনেই ছেলে-মেয়েরা পরষ্পরকে জড়িয়ে ধরা, কাধে মাথা রেখে শুয়ে-বসে থাকা, একে-অপরের অনিরাপদ দুরত্বে বসে থাকা এমন ঘটনা নিত্যদিনের চিত্র। এ ছাড়াও ক্লাস চলাকালীন সময়ে ছাত্র-ছাত্রীরা মিলে এক সাথে বিভিন্ন তলার সিঁড়ি এবং টাওয়ারের আনাচে-কানাচে বসে অতি উচ্চসুরে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে গান গেয়ে শব্দদুষণ তৈরির ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। যা কোন অবস্থাতে আধ্যাত্মিক এই নগরীর সাথে খাপ খায়না।