উজান থেকে নেমে আসা পাহড়ি ঢলে  সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। হঠাৎ বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন সিলেটের ৬ উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট, বাজার এবং বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি উঠে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। বন্যার কারণে রোববার জেলার ১৬১টি প্রাথমিক ও ১৩টি মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া ৬ উপজেলায় ৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৮৯টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে বলে যুগান্তরকে জানান জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে উজানে ভারতের মেঘালয় পাহাড়ে টানা বর্ষণের কারণে সিলেটের কুশিয়ারা ও সুরমা নদীর পানি বাড়তে থাকে। বর্তমানে দু’টি নদীর সবকটি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে কুশিয়ারা নদীর পানি ঢুকে জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর, গোলাপগঞ্জ ও জকিগঞ্জ উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। উজানে টানা বর্ষণ হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, বরাক বেসিনে বৃষ্টিপাত হওয়ায় আরও দুই দিন পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে কুশিয়ারার পানি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। তিনি আরও জানান, সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কুশিয়ারা নদীর পানি অমলশীদ পয়েন্টে ৮৫ সেমি , শেওলা পয়েন্টে ৭৩ সেন্টিমিটার এবং শেরপুর পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেড়েছে সুরমা নদীর পানিও। কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে বন্যায় ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে  ৬ উপজেলায় ইতিমধ্যে ১২৮ মেট্রিক টন চাল ও নগদ প্রায় ২ লাখ ৭৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার । এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn