মনীন্দ্র চন্দ্র বর্মণ, নিহত শ্যামাচরণের ভাই
নিহত শ্যামাচরণের ভাই মনীন্দ্র চন্দ্র বর্মণ বলেন, একই ঘটনায় থানায় একটি মামলা চলমান থাকায় থানা থেকে আদালতে প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত আদালতে দাখিল করা মামলাটি স্থগিত এবং থানা থেকে প্রতিবেদন আসার পর এ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে আদেশ দেন আদালত। এই সময়ের মধ্যে তাঁরা অসহায়বোধ করেছেন। মনীন্দ্র অভিযোগ করে বলেন,হত্যার হুমকি দেওয়ায় তাঁরা মৎস্যজীবীদের নিয়ে স্থানীয় থানা-পুলিশকে জানিয়েছিলেন। ঢাকায় গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। কিন্তু কোনো নিরাপত্তা পাননি। হত্যার পর থানা-পুলিশ মামলা না নেওয়ায় আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। এরপরও পুলিশ তদন্ত তো দূরের কথা উল্টো হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।
প্রকৃত মৎস্যজীবীরা যদি জলমহালে মাছ ধরার অধিকার না পান, হত্যার শিকার হয়ে বিচার না পান, তাহলে সেটা তো মগের মুল্লুক। এই মগের মুল্লুকের মূলোৎপাটন চাই আমরা। নিরীহ মৎস্যজীবী শ্যামাচরণ বর্মণ হত্যা ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাই।
আবদুল করিম চৌধুরী, সমন্বয়ক, সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলন
কর্মসূচিতে সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘ক্ষমতার দাপটে বর্বর ঘটনা ঘটেছে সুনুই জলমহালে। সেখানে যে মৎস্যজীবীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে, তিনি ২০১৮ সালে জলমহাল পরিচালনায় শ্রেষ্ঠ মৎস্যজীবী সরকারি পুরস্কার পেয়েছেন। প্রকৃত মৎস্যজীবীরা যদি জলমহালে মাছ ধরার অধিকার না পান, হত্যার শিকার হয়ে বিচার না পান, তাহলে সেটা তো মগের মুল্লুক। এই মগের মুল্লুকের মূলোৎপাটন চাই আমরা। নিরীহ মৎস্যজীবী শ্যামাচরণ বর্মণ হত্যা ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাই।’
প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা নাগরিক বন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সিলেট মহানগরের সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় ধর, সাংস্কৃতিক সংগঠক মিশফাক আহমদ চৌধুরী, এনামুল মুনীর, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ, টেলিভিশন সাংবাদিকদের সংগঠন ‘ইমজা’ সাধারণ সম্পাদক সজল ছত্রী, নাগরিক মোর্চা দুষ্কাল প্রতিরোধ আন্দোলনের সংগঠক দেবাশীষ দেবু প্রমুখ।
সংক্ষুব্ধ নাগরিক বন্ধন থেকে সুনই জলমহাল তীরে মৎস্যজীবীদের বসতি এলাকায় নাগরিক কমিটির একটি প্রতিনিধিদল সরেজমিন পরিদর্শনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এই প্রতিনিধিদলে মানবাধিকারকর্মী, নাগরিক অধিকারকর্মী, গণমাধ্যমকর্মীসহ সমাজের প্রতিনিধিত্বশীল ব্যক্তিদের একাত্ম করা হবে। এই পরিদর্শনকালের আগেই সাংসদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া ও হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করা হয়।-প্রথম আলো