বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ৭৪তম বাপা কোর্স ও ডিরেক্ট এন্ট্রি কমিশন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ রবিবার যশোরে বিমান বাহিনী প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বরিশাল ও সিলেটে নতুন আরো দুটি বিমান ঘাঁটি স্থাপন করা হবে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমান বাহিনীকে আরো আধুনিক ও যুগোপযোগী করার কাজ হাতে নিয়েছি। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বিমান বাহিনীকে আরো আধুনিক করার কাজ হাতেই নিই। আমরা ২০০০ সালে বিমান বাহিনীতে চতুর্থ প্রজন্মের অত্যাধুনিক মিগ-২৯ জঙ্গি-বিমান, বড় পরিসরে সি-১৩০ পরিবহন বিমান এবং উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন আকাশ প্রতিরক্ষা রাডার সংযোজন করি। ২০০০ সালে আমরাই সর্বপ্রথম সশস্ত্র বাহিনীতে নারীদের কমিশন অফিসার নিয়োগ দেয়া শুরু করি। তিনি বলেন, জাতিরপিতার প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে আমরা সশস্ত্র বাহিনীর জন্য দীর্ঘমেয়াদী ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করি। এগুলোর আলোকে আমরা ইতিমধ্যেই বিমান বাহিনীকে বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধবিমান, পরিবহন বিমান, হেলিকপ্টার, ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র এবং উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন আকাশ প্রতিরক্ষা রাডার যোগ করি। শিগগিরই আরো অত্যাধুনিক বিমান সংযোজন করা হবে।

বিমান বাহিনীর সদস্যের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি দেশ ও জাতির যেকোনো প্রয়োজনে ভূমিকা রাখতে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। এর আগে বেলা ১১টায় যশোর বিমানবাহিনী প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তাকে স্বাগত জানান বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল আবু এসরার এবং বিমানবাহিনী একাডেমীর কমান্ড্যান্টস এয়ার কমডোর এ এস এম ফখরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, সেনা ও নৌবাহিনীর প্রধানগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, কূটনৈতিকগণ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, অবসরপ্রাপ্ত বিমান বাহিনী প্রধানগণ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অভিভাবকরা। রাষ্ট্রপতির কুচকাওয়াজ-২০১৭ এর ৭৪তম বাফা কোর্সের ৬৮ পাইলট ক্যাডেট এবং ডিরেক্ট এন্ট্রি-২০১৭ কোর্সের ১১ জনসহ মোট ৭৯ জন কমিশন লাভ করেন। এদের মধ্যে ১৩ জন মহিলা কমিশন লাভ করেন। ফ্লাইট ক্যাডেট মির্জা মো. জুবায়ের হোসেন ৭৪তম ফ্লাইট ক্যাডেট কোর্সের সেরা চৌকস কৃতিত্বের জন্য সোর্ড অব অনার এবং ফ্লাইট ক্যাডেট শাহরিয়ার তানজিন জেনারেল সার্ভিস প্রশিক্ষণ কৃতিত্বের জন্য কমান্ড্যান্টস ট্রফি লাভ করেন। উড্ডয়ন প্রশিক্ষণে সেরা কৃতিত্বের জন্য ভাইস ক্যাডেট মির্জা জুবায়ের হোসেন বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ট্রফি লাভ করেন। গ্রাউন্ডব্রাঞ্চ এ সেরা কৃতিত্বের জন্য ভাইস ক্যাডেট এস এম শহীদুল ইসলাম সুজন বিমান বাহিনী প্রধানের ট্রফি লাভ করেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn