সিলেট থেকে ভাটিবাংলা: নৌকা নিয়ে বিরামহীন শফিক চৌধুরী
সম্প্রতি ঐতিহাসিক আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সিলেট বিভাগীয় সম্মেলন। এই সম্মেলন সফল করতে সাংগঠনিক তৎপরতায় খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জ আসনের সাবেক এ সংসদ সদস্য। একটি সফল সম্মেলনের জন্য যা কিছু প্রয়োজন, সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও কেন্দ্রের সঙ্গে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ ও শলাপরামর্শ করে তার সবকিছুই করেছেন শফিকুর রহমান চৌধুরী। সম্মেলন শেষ হওয়ার পরেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে ছুটে গিয়েছিলেন সুনামগঞ্জে।
এরইমধ্যে দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার বহুল আলোচিত ‘আতিয়া মহলে’ জঙ্গি আস্তানার অস্তিত্ব জানতে পারে প্রশাসন। প্রশাসনের অভিযানের সময় ‘আতিয়া মহলের’ অদুরে বোমা বিস্ফোরণে মোট ৬ জন নিহত ও প্রায় অর্ধশত আহত হন। নিহতদের মধ্যে দুইজন পুলিশ কর্মকর্তার পাশাপাশি প্রাণ হারান ছাত্রলীগের দুই নেতা। এছাড়াও আহতদের মধ্যে যেমন সাধারণ নাগরিক ছিলেন, তেমনি ছিলেন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মী। খবর পাওয়া মাত্রই এসব বিপদগ্রস্ত মানুষ ও তাদের পরিবারের পাশে ছুটে যান তিনি।
কঠিন এ সময়ে শফিক চৌধুরী স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসার বিষয়টি তদারকি করেন। শুধু তদারকি নয়, ঔষধ ও রক্ত সংগ্রহের ব্যবস্থা করেছেন। এ নিয়েও কয়েকদিন ছিলেন খুব ব্যস্ত। জানাজায় অংশ নেয়ার পর নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সান্তনা জানাতে ছুটে যান তাদের বাড়িতে।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সদ্যপ্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের আসনের উপ-নির্বাচনের প্রচারণার শেষ কয়েকদিনেও ব্যস্ত সময় পার করেছেন ‘২৪ ঘন্টার রাজনীতিবিদ’ বলে খ্যাত শফিক চৌধুরী। সুনামগঞ্জ-২ আসনে সুরঞ্জিতের স্ত্রী জয়া সেনগুপ্ত নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। নির্বাচনটি আসলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের কাছে ‘প্রেস্টিজ ইস্যু’। এ ইস্যুতে জয় ছাড়া বিকল্প নেই।
বিষয়টি মাথায় রেখে শফিকুর রহমান চৌধুরী ভাটিবাংলায় অন্যান্য নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রচার ও গণসংযোগে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। গত কয়েকদিন স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে লাগাতার সেখানে কাজ করেছেন তিনি। মানুষের ঘরে ঘরে গিয়েও নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়েছেন। চষে বেড়িয়েছেন হাওর জনপদে। গ্রাম থেকে গ্রামে হাট থেকে মাঠে।