‘যারা এতিমের টাকা মেরে খায়, তারা দেশের কি উন্নয়ন করবে সিলেটে প্রধানমন্ত্রী
ওয়েছ খছরু
নৌকা মার্কার পক্ষে ভোট চেয়ে সিলেট থেকে আগামী নির্বাচনের প্রচারণা শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সরকারি আলীয়া মাদ্রাসা ময়দানে আয়োজিত জনসভায় তিনি আগামী নির্বাচনের জন্য নৌকার পক্ষে ভোট চান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন- ‘যারা এতিমের টাকা মেরে খায়, তারা দেশের উন্নয়ন করবে কীভাবে।’ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়ন হয়। আর বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যায়। সুতরাং ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে আলীয়া মাদ্রাসা ময়দান পরিণত হয়েছিল জনসমুদ্রে।
দুপুর থেকে গোটা বিভাগ থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে আসেন। বিকেল ৩টায় সার্কিট হাউস থেকে সমাবেশস্থলে যান প্রধানমন্ত্রী। তিনি সমাবেশ মঞ্চে ওঠার আগে আলীয়া মাদ্রাসা ময়দানে স্থাপিত ফলকে ৩৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরে তিনি মঞ্চে উঠলে উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে হাততালি দিয়ে বরণ করে নেন। এর আগে সকালে সিলেট পৌঁছে তিন আউলিয়ার মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে আগামী নির্বাচন সামনে রেখে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী।
জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন- আওয়ামী লীগ চায় দেশ ও প্রবাসে থাকা বাংলাদেশের মানুষ সব সময় মাথা উঁচু করে থাকবে। ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে আমরা ঘুরতে চাই না। এ কারণে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ সুনামের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি ও জামায়াতের সমালোচনা করে বলেন- ওদের শাসনামলে গোটা দেশে একের পর এক বোমা হামলা হয়েছে। সিলেটও বোমার আঘাতে জর্জরিত হয়েছে। অনেক নেতা-কর্মী মারা গেছেন। অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করে বেঁচে আছে। ২০১৪ সালে যখন আওয়ামী লীগ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো তারা তখনো বোমার রাজনীতি শুরু করে। পেট্রোলবোমা দিয়ে দেশের মানুষকে হত্যা করেছে। দেশের সম্পদ বিনষ্ট করেছে। অবাধে গাছ-গাছালি কেটে দিয়েছে। সিলেটেও তারা অরাজকতা চালিয়েছে। বোমা মেরে সিলেটেও মানুষ হত্যা করেছে। তিনি বলেন- আন্দোলন হবে মানুষের দাবি আদায়ের জন্য। কিন্তু তারা আন্দোলন করেছে মানুষ মারার জন্য, সম্পদ নষ্ট করার জন্য। আওয়ামী লীগ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের রাজনীতি করে উল্লেখ করে তিনি বলেন- জনগণের উপর আস্থা ও বিশ্বাস আছে বলেই আমরা সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচারনা শুরু করলাম। গত ৯ বছরে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। বিএনপি ও জামায়াতের সময় দেশে বিদ্যুতের জন্য হাহাকার ছিল। কিন্তু এখন দেশে প্রতিদিন বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ১৬ হাজার মেগাওয়াট। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হয়েছে। সিলেটের মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে ৪ লেন করার প্রকল্প আমরা গ্রহণ করেছি। বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক সড়ককে মহাসড়ক করেছি। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক আমরা চারলেন করবো। দেশ প্রযুক্তিগত শিক্ষা ব্যবস্থায় এগিয়ে গেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন- প্রতিটি জেলায় জেলায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয় করছি। ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ও স্থাপন করেছি। এই সিলেটেও একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হচ্ছে। এতে চিকিৎসা শিক্ষায় সিলেট আরও এগিয়ে যাবে। সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল দেশে পরিণত হয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন- দেশের মানুষ এখন ১৪ কোটি মোবাইল সিম ব্যবহার করে। ৮ কোটি মানুষ ইন্টারনেট সেবার আওতায় এসেছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট স্টেশন উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে। সবদিক থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে। এবারের বন্যার বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন- এই বন্যায়ও দেশে কোনো খাদ্য ঘাটতি হয়নি। বন্যার্ত মানুষের মুখে খাবার তুলে দেয়া হয়েছে। এ বছর ৪ কোটি মেট্রিকটন খাদ্যশষ্য উৎপাদন করা হয়েছে। সিলেট হচ্ছে চায়ের এলাকা। যাতে চা উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। সিলেটে চা নিলাম কেন্দ্র স্থাপন করে দেয়া হয়েছে। দেশের প্রত্যেকটি এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন- সিলেটে শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে যাতে প্রবাসীরা সহজেই বিনিয়োগ করতে পারে সেজন্যও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সিলেটে ইতিমধ্যে একটি ক্যান্টনমেন্ট স্থাপন করা হয়েছে। দেশে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সম্পন্ন ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী সন্তানকে জঙ্গিবাদের দিকে ঠেলে না দিতে অভিভাবক ও শিক্ষকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। এ সময় তিনি বলেন- সন্তান কোথায় যায়, কী করে সেদিকে নজর দিতে হবে। দেশের মানুষকে সচেতন করে গড়ে তোলে জঙ্গিবাদকে নির্মুল করতে হবে। মানুষ হত্যা কখনোই ইসলাম ধর্ম সমর্থন করেনা। মানুষ হত্যা করে কেউ বেহেস্তে যেতে পারে না। আর দেশে শান্তি থাকলে উন্নয়ন স্বাভাবিক থাকে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। জনসভায় সভাপতিত্ব করেন- সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট লুৎফুর রহমান। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেটের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুুব-উল-আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সাবেক এমপি সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মতিউর রহমান, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুজ জাহির, মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার আহমদ, জাতিসংঘ মিশনের সাবেক প্রতিনিধি ড. একে আবদুুল মোমেন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেব নাথ, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক আতিক, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি এজাজুল হক এজাজ, আবদুল মুমিন চৌধুরী, শাহরিয়ার আলম সেলিম, শাহানারা বেগম, রুবি ফাতেমা ইসলাম, শাহ নিজাম, শামীম আহমদ, নাজিরা বেগম শিলা, আলম খান মুক্তি, আফতার হোসেন, আফসার আজিজ, আবদুল আলীম তুষার প্রমুখ।
মাজার জিয়ারত: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১০ টা ৪০ মিনিটে পৌঁছান সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। সেখানে সিলেট জেলা মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এরপর প্রধানমন্ত্রী মাজার জিয়ারত করতে ওলিকুল শিরোমনি হযরত শাহ্জালাল (রহ:) মাজারে যান। সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানান- সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। প্রধামন্ত্রী মাজারের ইবাদত খানায় ফাতেহা পাঠ ও দোয়া করেন। পরে তিনি হযরত শাহ্পরাণ (রহ.) ও সিলেটের আদি মুসলমান বুরহান উদ্দিন (রহ:) মাজার জিয়ারত করেন। দু’টি মাজারেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তাকে বরণ করে নেন। পরে তিনি সিলেট সার্কিট হাউসে বিশ্রাম নেন। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, তৌফিক-ই-এলাহী, আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, সংসদ সদস্য শেখ হেলাল, সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আক্তার, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য গোলাম কবির রব্বানি চিনু, আনোয়ার হোসেন, ইকবাল হোসেন অপু, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক প্রমুখ।
শোডাউন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিলেটের সমাবেশকে কেন্দ্র করে গতকাল সম্ভাব্য এমপি ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রার্থীরা নগরীতে শোডাউন দিয়েছেন। এ সময় নেতাকর্মীরা নেচে- গেয়ে উৎসব পালন করেন। সিলেটের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদউদ্দিন আহমদের পক্ষেও শোডাউন দেয়া হয়। পাশাপাশি সিলেটের ৬টি নির্বাচনী আসনের প্রার্থীদের পক্ষে শোডাউন ছিল চোখে পড়ার মতো। সিলেট-২ আসনে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট-৩ আসনের যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিবের পক্ষে, সিলেট-৬ আসনের কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সারোয়ার হোসেনের পক্ষে শোডাউন দেয়া হয়। এছাড়া কোম্পানীগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা শামীম আহমদের নেতৃত্বেও শোডাউন করা হয়েছে। বেলা ১১ টা থেকে শুরু হয় শোডাউন। আর বিকেল ৩ টা পর্যন্ত শোডাউনে মুখরিত হয়ে ওঠে সিলেট।
কামরানের ক্ষোভ: সিলেট আলীয়া মাদ্রাসা ময়দানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় সিলেটের বর্তমান মেয়রকে উদ্দেশ্য করে সাবেক মেয়র কামরান বলেন, ‘সিলেটে গত পাঁচ বছরে ৫০০ কোটি টাকা বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দ করা হয়েছে। অথচ, বিএনপি নেতা এবং বর্তমান মেয়র বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এই সরকারের বিরুদ্ধেই বিষোদগার করেন। তিনি জানান, এই সরকার এবং সিলেটের মন্ত্রী না থাকলে আপনি কি করে উন্নয়ন করবেন? শেখ হাসিনা যদি ক্ষমতা থেকে নামেন তবে কিভাবে এত উন্নয়ন করবেন। কোথা থেকে বরাদ্দ পাবেন। বন্ধ হয়ে যাবে উন্নয়নের চাকা। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ২০০৩ সালে তিনি প্রথমবারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। সে সময় তিনি ক্ষমতাসীন বিএনপি’র কাছ থেকে কোনো ধরনের সহায়তা পাননি। বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার সিলেটের ১১টি খাল ও ছড়া উদ্ধারে ২৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই পরিমাণ বরাদ্দ আমার সময়ে দেয়া হয়নি।
এদিকে সমাবেশের আগে প্রধানমন্ত্রী ৩৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তি স্থাপন করেন। এর মধ্যে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেন প্রকল্প, ঢাকা-সিলেট রেল লাইন ডাবল লাইনে রূপান্তর এবং সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প ছিল না। এ তিন প্রকল্পের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কথা বলেন। বিদেশী কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি জটিলতার কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের নিজস্ব অর্থায়নে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেন করার কথা জানিয়েছেন। এদিকে তিন মেগা প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না আসায় কিছুটা হতাশাও দেখা গেছে নেতা-কর্মীদের মাঝে।