সিলেট-৩: প্রার্থী মনোনয়নে চ্যালেঞ্জে পড়বে আ.লীগ-বিএনপি
সিলেট প্রতিনিধি:দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাংসদ নির্বাচিত হওয়ায় ভোট হয়নি এখানে। তবে একাদশ নির্বাচনে সত্যিকার ভোটের লড়াই চান এখানকার ভোটাররা। তাই নির্বাচনের আরো দেড় বছর বাকি থাকলেও সব দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নেমে পড়েছেন মাঠে। প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে রয়েছেন জোরালো মনোনয়নপ্রত্যাশী একাধিক প্রার্থী। এই আসনে প্রার্থী মনোনয়নে হিমশিম খেতে হবে দুই দলকেই।
দক্ষিণ সুরমা-ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জের একাংশ নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে ভোট ছাড়াই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দ্বিতীয়বারের মতো সাংসদ নির্বাচিত হন মাহমুদ উস সামাদ। এর আগে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরীকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো সাংসদ হন তিনি। ওই নির্বাচনে তিনি পেয়েছিলে ৮৩ হজার ৯৮৪ ভোট। আর শফি আহমদ চৌধুরী পেয়েছিলেন ৪৭ হাজার ৭০ ভোট।
বর্তমান সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চান। কিন্তু মনোনয়ন লড়াইয়ে তাকে চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব। দীর্ঘদিন ধরে তিনি প্রবাস থেকে এলাকায় এসে কাজ করছেন। এ ছাড়া এ আসনে মনোনয়ন চাইবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, যদিও তিনি সিলেট-১ আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণাও দিয়ে রেখেছেন।
মনোনয়ন পাওয়ার পাওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে জনগণের জন্য কাজ করছি। এলাকার সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলেছি। আবার মানুষের সেবা করতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চাই। আশা করি দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দেবেন।’ আর মানুষ পরিবর্তন চায় বলে দাবি করেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে প্রার্থী হতে মাঠে কাজ করছি। মানুষ পরিবর্তন চায়। নেত্রীর কাছে মনোনয়ন চাইব।’
অন্যদিকে বিএনপি থেকেও নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনজন। দলের সাবেক সাংসদ শফি আহমদ চৌধুরী মাঠে নেমেছন অনেক আগেই। এ ছাড়া মনোনয়ন পেতে লবিংয়ের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ঘন ঘন এসে প্রচার-প্রচারণা ও এলাকাবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম। যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরীও রয়েছেন মাঠে।
শফি আহমদ চৌধুরী তার সাংসদ থাকাকালীন কাজের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘বিএনপির সংসদ সদস্য যখন ছিলাম, মানুষের জন্য অনেক কাজ করেছি। আশা করছি দল নির্বাচনে গেলে আমাকে মনোনয়ন দেবে।’ ব্যারিস্টার আব্দুস সালামও মনে করেন দল তার কাজের মূল্যায়ন করবে। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে মাঠে কাজ করছি। আশা করছি নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নের সময় দল আমাকে মূল্যায়ন করবে।’ এ ছাড়া জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুর রহমান আতিক এ আসনে প্রার্থী হতে পারেন।