সাইফুল আলম বাদশা-

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে জঙ্গি আস্তায় নিহত নারী জঙ্গির পরিচয় মিলেছে । তার বাড়ি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নে। নিহত নারীর নাম জুবাইরা ইয়াসমিন (২২)। এ ঘটনায় নিহত হওয়া শিশুটিও তার। সে বাইশারী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের যৌথ খামারপাড়ায় বসবাসকারী নুরুল আলম এবং জান্নাত আরার মেয়ে। নুরুল আলম মহেশখালী থেকে গত ২০বছর আগে এই এলাকায় বসতি গড়ে তোলেন।

গত বৃহস্পতিবার ৪ ঘন্টার শ্বাসরুদ্ধ অভিযানে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ এবং গুলিতে ওই নারীসহ চার জঙ্গির পাশাপাশি এক শিশু প্রাণ হারায়। শনিবার সকালে পুলিশ বাইশারী বাজার হতে উত্তর দিকে অন্তত সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরবর্তী যৌথ খামারপাড়ার অরণ্যে গিয়ে এসব তথ্যের সত্যতা পায় বলে নিশ্চিত করেন। টিনের চালায় নির্মিত মাটির ঘরেই জুবাইরা ইয়াসমিনের বাবা-মা’সহ স্বজনেরা বসবাস করছেন। জুবাইরা ইয়াসমিনের মা জান্নাত আরা জানান, গত আট মাস ধরে মেয়ের খবর নেই। তাকে স্বামী কামাল হোসেন বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে চট্টগ্রাম নিয়ে যায়। তবে কামাল হোসেনের বাড়িও বাইশারীর যৌথ খামারপাড়ায়। কিছুদিন পর ছেলে জহিরুল হকও তাদের কাছে চলে যায়। সেখানে জুবাইরার একটি ছেলে হয়েছিল বলে জানায়। ওই সন্তানের দেখাশুনার কথা বলে আরেক মেয়ে মনজি বেগমকে (১৬) তার দোলাভাই চট্টগ্রামে নেয়। কিন্তু এর পর থেকে তাদের সঙ্গে আর দেখা হয়নি। মাঝে মধ্যে মুঠোফোনে জানাত যে, তারা খুব সুখে আছেন। ভালো টাকা পয়সা পাচ্ছেন।

বাইশারী ইউপি সদস্য আবু তাহের বলেন, যৌথ খামারপাড়ায় কিছু রোহিঙ্গা এবং নোয়াখালিসহ দেশের নানা প্রান্তের লোকজন বসতি গড়েছেন। হয়তো এই জন্যে অনেকে বিপদগামী হচ্ছে। আমরা এলাকার নিখোঁজ ব্যক্তিদের তালিকা করা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘ বিষয়টি খুবই উদ্বেগের। বাইশারী প্রবেশমূখে পুলিশের তল্লাসি চৌকি বসানো উচিত। এ ব্যাপারে আমরা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবো। ‘ বাইশারী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) আবু মুসা বলেন, জুবাইদাসহ এ ইউনিয়ন থেকে ৪ জন নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে। বাকি ৩ জন কোথায় গেছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn