সুনামগঞ্জের রাজনীতিকরা এখন লন্ডনমুখী
সুনামগঞ্জ-৪ (সদর উত্তর-বিশ্বম্ভরপুর) আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা যুক্তরাজ্যমুখী। দুই দলের নেতাকর্মীরাই বলছেন, বৃহত্তর সিলেটের রাজনীতিতে কেন্দ্রের পরেই শক্তিশালী অবস্থান যুক্তরাজ্য ইউনিটের, এজন্যই মনোনয়ন প্রত্যাশীরা তদবিরে প্রবাসীদের সহযোগিতা পাবার আশায় যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন।
এদিকে, সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-দক্ষিণ সুনামগঞ্জ) আসনের এমপি অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান গত ৮ জুলাই সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যে গেলেও তার নির্বাচনী এলাকা প্রবাসী অধ্যুষিত হওয়ায় সাংগঠনিক কর্মসূচিসহ প্রবাসীদের বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে যুক্তরাজ্যে থাকা নির্বাচনী এলাকার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করছেন তিনি।
সুনামগঞ্জ-৪ (সদর উত্তর- বিশ্বম্ভরপুর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন গত ২৩ জুন থেকে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নানা কর্মসূচীতে অংশগ্রহণসহ কমিউনিটি নেতাদের আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচাতে অংশ নিচ্ছেন তিনি।
এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেওয়ান জয়নুল জাকেরীনও ৩ দিন আগে যুক্তরাজ্যে গেছেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালীন সময়ে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বলেও তাঁর ঘনিষ্টরা জানিয়েছেন। এই আসনে
বিএনপির অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা বিএনপি’র সহসভাপতি আব্দুল লতিফ জেপি মনোনয়ন তদবিরের জন্য এক মাস যুক্তরাজ্যে থেকে গত সপ্তাহে দেশে এসেছেন।
আগামী সপ্তাহে আবার যুক্তরাজ্যে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে জানিয়ে আব্দুল লতিফ জেপি বলেন, বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, জাতীয়তাবাদী দলের প্রাণ জননেতা তারেক রহমানের সঙ্গে একাধিক সাংগঠনিক কর্মসূচিতে দেখা হয়েছে। ঈদের দিন কুশল বিনিময়ের সময় তিনি নেতা-কর্মীদের বলেছেন, দেশে এসে তৃণমূলে দলকে শক্তিশালী করার জন্য। আমরা তার নির্দেশ মোতাবেক কাজ করবো।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী একজন আওয়ামী লীগ নেতা বললেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাস করায় এবং বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে থাকায় বৃহৎ এই দুটি দলেরই যুক্তরাজ্য ইউনিটের গুরুত্ব বেড়েছে। এজন্যই মনোনয়ন প্রত্যাশীরা, বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলের রাজনীতিকরা এখন লন্ডনমুখী।