সুনামগঞ্জের ২৩লাখ মানুষের স্বার্থে আমাদের আন্দোলন
একে কুদরত পাশা-: হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন কেন্দীয় কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু বলেছেন, আমাদের আন্দোলন সরকারের বিরুদ্ধে নয়, আমরা সরকারীদলের বিরুদ্ধে অথবা, বিরুধী দলের পক্ষে নই, আমরা সুনামগঞ্জের ২৩লাখ মানুষের একমাত্র ফসল রক্ষার স্বার্থে আন্দোলন করি, এ আন্দালনে পাওয়ার কিছুই নেই, গতবছর যখন আমাদের জেলার একমাত্র ফসল কিছু দুর্নীতিবাজ পাউবো কর্মকর্তা ও পিআইসির কারণে অকালে পানির নিচে তলিয়ে যায় তখন সুনামগঞ্জের কিছু সাংবাদিকবন্ধুরা আন্দোলনের ডাকদেন, শেষে আমরা সুনামগঞ্জের সুশীল সমাজের লোকদের নিয়ে কৃষকদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন এর কমিটি গঠন করি। আমরা হাজার হাজার কৃষকদের নিয়ে পাউবো কার্যালয় ঘেরাও করি, আমাদের আন্দোলনের কারণেই মহামান্য রাষ্ট্রপতিও প্রধান মন্ত্রী আমাদের এলাকা সফর করেন, আমাদের আন্দালনের ৩দফা দাবি হচ্ছে, হাওর রক্ষাবাঁধের কাজ এখনই শুরু করতে হবে, বাঁধের কাজ তদারকিতে সেনাবাহিনীকে নিযুক্ত করতে হবে এবং দুর্নীতিবাজ পিআইসিদের এবারের প্রকল্পথেকে বাধ দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, হাওরের বাঁধ এবং হাওরের বরাদ্দের টাকা আমাদের তাই হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ তদারকির দায়িত্ব আমাদেরই, বাঁেধর কাজে কোনো অনিয়ম দুর্নীতি সহ্য করা হবেনা।
বিশেষ অতিথির বক্তবে হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন কেন্দীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায় বলেন, অকালে ফসল হারিয়ে যখন হাওর বাসী দিশেহারা তখন প্রথমই আমাদের সাংবাদিক সমাজ দুর্নীতিবাজ পাউবো কর্মকর্তাও পিআইসিদের বিরুদ্ধে লিখনির মাধ্যমে প্রতিবাদ করে এরই ধারাবাহিকতায় সুনামগঞ্জের সর্বস্তরের জনগন নিয়ে আমরা আন্দোলন শুরু করি । ৭মাসেই আমাদের আন্দোলন সফলতা লাভ করে আজ সারা জেলার সচেতন মানুষ তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠেছেন, আজকের সমাবেশই প্রমান করে দিরাই বাসি তাদের অধিকার আদায়ে সোচ্ছার হয়ে উঠেছেন। হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন দিরাই উপজেলা কামিটির যুগ্ন আহবায়ক সমাজ সেবার সাবেক উপ-পরিচালকা তোরণ মিয়ার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সমাছুল ইসলাম সরদারের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (দিরাই-শাল্লা) একে কুদর পাশা, কেন্দ্রীয় সদস্য সালেহীন চৌধুরী শুভ, ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি রফিকুল ইসলাম খছরু, সাধারণ সম্পাদক গুলজার আহমদ, প্রফেসর প্রাণকৃষ্ণ দাস। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রফেসর বদিউজ্জামান, রফিকুল ইসলাম, ইমদাদ সরদার, কাজী নুরুল আজিজ চৌধুরী, মুজাহিদুল ইসলাম সর্দার, নুরুল হক, আখলাকুর রহমান, মোহাম্মদ আলী, হাম্মাদ আহমদ, মুক্তার হোসেন, মোশাররফ হোসেন, মুজাম্মেল হক, শাহীন রেজা প্রমুখ।